স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেলের মূল খননকাজ আগামী জুনে শুরু হতে যাচ্ছে। নদীগর্ভে খননের মূল যন্ত্র ‘টানেল বোরিং মেশিন’ (টিবিএম) মে নাগাদ চীন থেকে চট্টগ্রামে আসছে। টিবিএম প্রায় প্রস্তুত। এই মেশিনের ছোট ছোট অংশ দেশে এনে পরে সংযোজন করা হবে। নদীগর্ভে টিবিএম নামানোর জন্য টানেলমুখের দুই প্রান্তে জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশের প্রথম এই টানেলটি হবে ‘ডুয়েল টু লেন’ টাইপের। টানেল নির্মাণ করা হবে ‘শিল্ড ড্রাইভেন মেথড’ পদ্ধতিতে। ২০১৬ সালেল ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেল নির্মাণ কাজের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রপতি শিং জিন পিং।
‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা ও দক্ষিণে আনোয়ারা এলাকায়। ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা (সম্ভাব্য) ব্যয়ের এই টানেলের অ্যালাইনমেন্ট হবে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে কর্ণফুলী নদীর ২ কিলোমিটার ভাটির দিকে। টানেলের প্রবেশপথ হবে নেভি কলেজের কাছে। বহির্গমন পথ হবে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের সিইউএফএল সার কারখানাসংলগ্ন ঘাট। মোট ৯ হাজার ২৬৫ দশমিক ৯৭১ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটির মধ্যে টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৫ মিটার (উভয় পাশের ৪৭৭ মিটার ওপেন কাট বাদ দিয়ে)। টানেলে থাকবে ৯২০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি ফ্লাইওভার। এর মধ্যে শহর প্রান্তের ‘এট গ্রেড সেকশন’ হবে ৪৬০ মিটারের আর দক্ষিণ প্রান্তের ‘এট গ্রেড সেকশন’ হবে ৪ হাজার ৪০৩ দশমিক ৯৭১ মিটারের।
চারটি খননযন্ত্রের মাধ্যমে চলছে ড্রেজিংয়ের কাজ। শেষ হয়েছে ডিএপি সার কারখানা ও কাফকোর মাঝামাঝি মাঝের চর এলাকায় প্রকল্পের সাইট অফিস, আবাসস্থল ও যন্ত্রপাতি রাখার জন্য মাটি ভরাটের কাজ। একইভাবে নদীর উত্তর পাড়ে পতেঙ্গায় নির্মাণ সরঞ্জাম রাখা ও আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণে চীন থেকে এসেছে দুই জাহাজ উপকরণ।