রাজধানীর কলাবাগানে ব্যারিকেড দিয়ে গরু বোঝাই পিকআপে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত পিকআপসহ ডাকাত দলের এক অন্যতম সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কলাবাগান থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ রিয়াজ গোলদার (২৫)। এ সময় তার হেফাজত হতে লুন্ঠিত পিকআপটি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) ভোর ০৬:৩০ ঘটিকায় শাহআলী থানা এলাকা থেকে লুন্ঠিত পিকআপসহ রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়।
কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, মোঃ মেহেদী হাসান (৩৫), মোঃ আহমেদ শাহ ওরফে রাজা (৩৫), কাজী আনোয়ার হোসেন (৫৭) ও মোঃ আব্দুল লতিফ প্রত্যেকে গরু ব্যবসায়ী ও মাংস বিক্রেতা। তারা গত ৯ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকায় গাবতলী গরুর হাট থেকে ১১টি গরু ক্রয় করেন। গরুগুলোর মোট মূল্য ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। গরুগুলো ক্রয় করার পর তারা তাদের পূর্ব পরিচিত রাখাল সর্দার জাকিরের নিকট গরুগুলো বুঝিয়ে দিয়ে আসে। জাকির ঐদিন রাত আনুমানিক ০২:০০ ঘটিকায় গাবতলী গরুর হাট থেকে একটি পিকআপযোগে রাখাল মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মাধ্যমে গরু ব্যবসায়ীদের নিকট গরুগুলো পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাত আনুমানিক ০৩:৩০ ঘটিকায় শুক্রাবাদ বাজারে শুক্রাবাদের এক গরু ব্যবসায়ীর নিকট দুটি গরু বুঝিয়ে দেয়। এরপর রাত আনুমানিক ০৪:৩০ ঘটিকায় কলাবাগান থানার মিরপুর রোডে আরেক গরু ব্যবসায়ীর তিনটি গরু নামানোর প্রস্তুতি নিলে পেছন হতে একটি পিকআপ সামনে এসে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পিকআপটি থামায়। থামানোর পর ওই পিকআপ হতে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল চাপাতি, রামদাসহকারে নেমে ড্রাইভার ও রাখাল ইব্রাহিমকে মেরে ফেলার ভয় দেখালে তারা ভয়ে গাড়ির চাবি রেখে রাস্তার পাশের গলির ভেতরে দৌড়ে চলে যায়। গলিতে গিয়ে তারা চিৎকার করলে তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তখন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় গরু বহনকারী গাড়িটি নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী মোঃ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলার রুজু করেন।
কলাবাগান থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য রিয়াজ গোলদারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। অতঃপর শুক্রবার (১০ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) ভোর ০৬:৩০ ঘটিকায় শাহআলী থানা এলাকা থেকে লুন্ঠিত পিকআপসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রিয়াজ গোলদার ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত ছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।