ডিএমপি নিউজ: রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে কসাইসহ গরু চুরি চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ বিল্লাল মিয়া, ইউসুফ, মোঃ রিপন, রজব আলী, মোঃ জুবায়ের, মোঃ আলামিন ও মোঃ আলমগীর। এদের মধ্যে জুবায়ের, আলামিন ও আলমগীর কসাই।
শুক্রবার বিকালে গাবতলী ও কদমতলী এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চুরির ৬টি গরু ও গরু পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
শনিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ জেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গরুর হাট থেকে একটি গরু চুরি হয়। গরুর মালিক হাট কমিটির সহায়তায় গরুর খোঁজে ঢাকার গাবতলী গরুর হাটে আসেন। তিনি ডিবি পুলিশকেও বিষয়টি অবগত করে সহায়তা চান। একপর্যায়ে শুক্রবার বিকালে একটি পিকআপসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। উদ্ধার করে চুরি যাওয়া গরুটি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে পরবর্তী সময়ে কদমতলীর নূরপুর এলাকা থেকে ৩ জন কসাইকে আরো ৫টি গরুসহ গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কসাইদের সাথে চোরদের যোগাযোগ থাকতো। কিছু ক্ষেত্রে কসাইরা চোরদের অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখতো। গরু পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কসাইরা গরু জবাই দিয়ে গোস্ত বিক্রি করে ফেলতো। যার কারণে গরুর মালিক বা পুলিশের পক্ষে গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। যেহেতু গরু কোথাও রাখার প্রয়োজন হতো না ফলে ধরা পড়ার ঝুঁকিও ছিল না। এটা চোরদের কাছে ছিলো দ্রুত টাকা ইনকামের সহজ এক ব্যবসা। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে বাড়ী বা গরুর হাট থেকে এভাবে গরু চুরি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এই চোর চক্রের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা উদঘাটন করা হবে। কোন কোন কসাই এই চোরদের কাছ থেকে গরু ক্রয় করতো তাদের তালিকা করে অভিযান চালানো হবে।
দারুসসালাম থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।