গ্রীষ্ম মৌসুমের ফল কাঁঠাল শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নানান রোগের প্রতিকারক হিসাবেও কাজ করে। তাছাড়া ইন্সুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং চুলের জন্যেও ভালো।
পুষ্টিগুণ:
কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ভিটামিন এ এবং সি, রিভোফ্লেভিন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামে ভরপুর থাকে কাঁঠালে। স্বাস্থ্যকর ক্যালরির জন্য এই ফল কাঁচা অবস্থায় রান্না করে কিংবা আঁচার বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আর পাকা-কাঁঠাল স্বাদে অনন্য।
রক্তে শর্করার মাত্রা:
কাঁঠালের ‘গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স’ কম, অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রার উপর কম প্রভাব রাখে। প্রধান কারণ আঁশ সমৃদ্ধ। তাই হজম হয় ধীরে। তাই হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। এছাড়া কাঁঠালে রয়েছে প্রোটিন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আঁশ:
কাঁঠালের আঁশ ও কার্বোহাইড্রেইট হজমের জন্যেও ভালো এবং অন্ত্রের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আদর্শ:
ক্যারটিনয়েডস ও ফ্লাভানোন্স সমৃদ্ধ কাঁঠাল প্রদাহরোধী উপাদানেও ভরপুর। তাই হৃদরোগ ও কোলেস্টেরলের সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য এটা আদর্শ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এসব রোগীদের জন্য উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
কাঁঠালের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দক্ষিণ ভারতে পেট খারাপ ও অ্যাজমা প্রতিকারে কাঁঠাল খাওয়ানো হয়।