হজযাত্রী আনতে সৌদি আরবের বিমান অবতরণের অনুমতি না দেয়ার অভিযোগে কাতার সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বাহরাইনের পার্লামেন্ট। এমন ঘোষণা দিয়েছেন বাহরাইনের ফার্স্ট ডেপুটি স্পিকার আলী আল আরাদি।
তিনি কাতারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তার পার্লামেন্টকে। সরকারি বার্তা সংস্থা বাহরাইন নিউজ এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। একই অভিযোগে কাতারের তীব্র নিন্দা করেছেন গ্রান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল শেখ। আলী আল আরাদি বলেছেন, আমাদের মধ্যে কোনো দুষ্ট বুদ্ধি নেই। আমরা কাউকে অবমাননা করারও চেষ্টা করছি না। তবুও সৌদি আরবকে সরাসরি যদি কেউ অবমাননা করার চেষ্টা করে তাহলে তা সরাসরি আঘাত করে বাহরাইনকেও। এটা আমরা সহ্য করবো না। আমরা এর জবাব দেবো।
সম্প্রতি কাতারের হজযাত্রীদের পবিত্র মক্কায় আনতে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স কাতার সরকারের অনুমতি চায়। কিন্তু সৌদি আরবের অভিযোগ তাদেরকে সেই অনুমতি দেয় নি। ফলে কাতারের হজযাত্রীদের আনতে বিমান পাঠাতে পারে নি সৌদি আরব। কাতারের এমন সিদ্ধান্তের খবরে ওই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আলী আল আরাদি। তবে সৌদি আরবের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার। সৌদি আরব বুধবার বলেছে, তারা কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বাদশা সালমান নির্দেশ দিয়েছেন তার নিজ খরচে কাতারের হজযাত্রীদের মক্কায় নিয়ে যেতে। কিন্তু সৌদি আরবের বিমান কাতারের দোহা’য় অবতরণের অনুমতি না পাওয়ায় প্রথম ফ্লাইটটিও পাঠানো সম্ভব হয় নি।
এ কথা বলেছেন সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার সালেহ আল জাসের। ওদিকে কাতারের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল শেখ বলেছেন, কাতারের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। এমন সিদ্ধান্তকে তিনি ভুল ও বিপদজনক বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, আইনগত কোনো কারণ ছাড়া হজযাত্রীদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের জন্য সফর আটকে দেয়াটা ভুল, বিপদজনক ও অগ্রহণযোগ্য।