স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশে সন্ত্রাস–দমন অভিযানে গতি আনতে চাইছে দেশটি। তার মধ্যেই দফায় দফায় কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলল বাহিনীর। নিহত হয়েছে ৬ জঙ্গি।
সেনা জানিয়েছে, কাল গভীর রাতে পুলওয়ামার সাম্বুরা এলাকায় জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে হানা দেয় সেনা ও পুলিশ। শুরু হয় সংঘর্ষ। ভোর তিনটে নাগাদ লড়াই শেষ হয়।
সেনার দাবি, সংঘর্ষে খতম হয়েছে এক পাকিস্তানি লস্কর জঙ্গি। সে অমরনাথ যাত্রীদের উপরে হামলাকারী আবু ইসমাইল গোষ্ঠীর সদস্য। জনা দুয়েক জঙ্গি পালিয়ে যেতে পেরেছে বলে মনে করছে সেনা। সংঘর্ষের খবর পেয়েই বাহিনীকে লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে স্থানীয়দের একাংশ। সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারী আহত হয়।
এরই মধ্যে আজ ভোরে কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরনোর চেষ্টা করে জঙ্গিদের একটি বড় দল।
সেনা তাদের চ্যালেঞ্জ করায় গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে খতম হয়েছে পাঁচ জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা।
ওই এলাকার ভূপ্রকৃতি দুর্গম বলে তল্লাশি অভিযানে সময় লাগছে বলে দাবি বাহিনীর। রাতে উরি সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি ভাঙে পাকিস্তান। পাক সেনার স্নাইপারের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন সেনার হাবিলদার নরেন্দ্র সিংহ বিস্ত।
উপত্যকায় আজ ফের অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টাও চালিয়েছে জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, চারার–ই–শরিফে একটি ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে জনা তিনেক সন্দেহভাজন জঙ্গি। কিন্তু ওই ব্যাঙ্কে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। ছিনতাইকারীদের অবশ্য ধরা যায়নি। তাদের শনাক্ত করতে সাহায্য করলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে পুলিশ।
জঙ্গি হানায় আট যাত্রীর মৃত্যুর পরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেই আজ শেষ হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। সিআরপিএফের আইজি (জম্মু সেক্টর) অভয়বীর চৌহানের অবশ্য দাবি, বহুস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলেই আরও বড় ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।