তার ভারি কণ্ঠের সংলাপ এখনও দর্শকদের মনে রয়ে গেছে। তিনি যখন খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সেটা দেখে দর্শকরা ভয় পেয়েছেন। আবার তিনি যখন ইতিবাচক ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি চলে গেছেন, কিন্তু এখনও বেঁচে আছেন সিনেমার ইতিহাসে।
বলছি খ্যাতিমান অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের কথা। আজ ৭ ডিসেম্বর বরেণ্য এই অভিনেতার চলে যাওয়ার দিন। ২০১৪ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ত। আজ তার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াণ দিবসে গুণী এই অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা।
১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ২ হাজার ৮০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন খলিল। তবে তার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে। ‘গুণ্ডা’ শিরোনামের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ সিনেমায় তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহঅনেকে।
১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় শুরু করেন। এর আগে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। খলিল অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘প্রীত না জানে রীত’। সিনেমাটি ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পায়। খলিলের তৃতীয় সিনেমা ‘সংগম’।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’ ইত্যাদি। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সিনেমায় মীরজাফরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। তথ্য সূত্র: অনলাইন।