এবার প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করতে পিয়ংইয়ং তৈরি করতে চলেছে মারণাত্মক ‘Biological Weapons’, এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে মার্কিন থিঙ্কট্যাংক Belfer Centre-এর একটি রিপোর্টে৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষায় এমনিতেই চিন্তিত বহু দেশ, আর এবার তার এই নয়া অস্ত্র যে আরও ভয়ঙ্কর কিছু করবে এমনটাই আশঙ্কা করছিল অনেকে৷
আর সেই আশঙ্কা সত্যি করেই কিমের বায়োলজিক্যাল ওয়েপন বা অস্ত্র তার শত্রুদেশে ছড়িয়ে দিতে পারে স্মল পক্স থেকে প্লেগের মতো ভয়ঙ্কর সব রোগ৷ শোনা যায়, ১৯৬০-এর দশকেই রাসায়নিক এবং বায়োলজিক্যাল(জৈবিক) অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া৷
প্রসঙ্গত, ১৯৫০-১৯৫৩ সালের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় টাইফাস জ্বর, টাইফয়েড, কলেরা, স্মল পক্সে বহু জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ আর এর জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছিল উত্তর কোরিয়া৷
মালয়েশিয়াতে ফেব্রুয়ারিতে কিম জং উনের ভাইয়ের হত্যার পিছনেও ওঠে Nerve agent VX রয়েছে বলে শোনা যায়, যা নাকি আবার উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসার্চ সেন্টার বায়ো টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়েছিল৷
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই বায়োলজিক্যাল ওয়েপন উৎপাদনের জন্য উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে তিনটি বায়োলজিক্যাল ওয়েপন প্রোডাকশন ইউনিট রয়েছে৷ এর সঙ্গে আবার বহু গবেষণা সংস্থা যুক্ত৷ Belfer Centre-এর রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, কিমের দেশ এই ধরনের মারণাত্মক অস্ত্র প্রস্তুত করতে শুরু করেছে৷ রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, যেখানে আমেরিকা সহ বিশ্বের বহু দেশের নজর রয়েছে কিমের পরমাণু অস্ত্রের ওপর, কিন্তু অন্যদিকে এর পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল ওয়েপনও(জৈবিক অস্ত্র) যে তৈরি হচ্ছে, সেদিকে অনেকেরই লক্ষ্য নেই৷
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে পরমাণু অস্ত্রের পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল অস্ত্র থেকেই রক্ষা পাওয়া যায়৷ যদিও এখনও জানা যায়নি এই নয়া হাতিয়ারের প্রয়োগ ঠিক কিভাবে করতে চলেছে কিমের দেশ৷