বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) এক কর্ম অধিবেশনে দাতা সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ বক্তারা দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য শস্য বৈচিত্রকরণ, ইনোভেশনসহ এক্ষেত্রে ব্যাপক গবেষণা এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞান বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ বুধবার বিকেলে ‘চরম প্রতিকূল জলবায়ুতে টিকে থাকার মতো কৃষি’ শীর্ষক কর্মঅধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মইনুদ্দীন আবদুল্লাহ ‘চরম প্রতিকূল জলবায়ুতে টিকে থাকার মতো কৃষি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এতে প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনি হোলেনস্টেইন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেভিড ডোলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ স্টোর ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ-এর ড. আতিক এ রহমান।
উল্লেখ্য, বিডিএফ’র এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব’ (‘পার্টনারশীপ ফর ডেভেপলমেন্ট’)।কর্মঅধিবেশনে সভাপতির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে মোকাবেলা করেছি। এক্ষেত্রে আমরা কারও সহযোগিতা নয়, বরং নিজেদের সামর্থ দিয়ে সুন্দরভাবে ওইসব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা করেছি। বন্যা, সাইক্লোনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে মোকাবেলা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, দরিদ্র ও ক্ষুদ্র কৃষকদের উন্নয়নে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অত্যন্ত দৃড়তার সঙ্গে কাজের মাধ্যমে তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে চলেছে।এজন্যই আমরা গ্রাম থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি ক্লাব গড়ে উঠেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা তথা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের উন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে।