ডিএমপি নিউজঃ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) কে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে এ হাসপাতালে সব ধরনের রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এখানে হার্টের রিং পরানোর ব্যবস্থা করা হবে। আগামী বছর আমরা এ হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যাবস্থা করবো।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) আজ বুধবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নবনির্মিত ৬ তলা বিশিষ্ট জরুরি বিভাগ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
চলমান করোনাকালে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মহাকাব্যিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা চিকিৎসায় এ হাসপাতালের সেবা সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এখানে শুধু পুলিশ সদস্যদেরই নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ নাগরিকদেরও করোনা চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় সিপিএইচ-কে মাত্র ছয় সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। তিনি এ কাজে সহযোগিতার জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রেও সিপিএইচ এগিয়ে রয়েছে। আজ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ২৮ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য ছাড়া সাধারণ মানুষ রয়েছেন ৩ হাজার জন।
আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদেরকে প্রতিনিয়ত ক্রিটিক্যাল অবস্থায় চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে পুলিশ সদস্যরা সাধারণ রোগের পাশাপাশি পাকস্থলী, কিডনি ও হার্টের অসুখসহ ক্যানসারের মতো কঠিন রোগে ভোগেন। তাদের চিকিৎসায় আমরা এ হাসপাতালে গ্লোবাল লেভেল ট্রিটমেন্ট দিতে চাই। বর্তমানে এ হাসপাতালের সাথে সিঙ্গাপুরের একাধিক হাসপাতালের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) রয়েছে। আমরা অন্যান্য উন্নত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে এমওইউ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি বলেন, শুধু পুলিশ সদস্যদের জন্যই নয়, সুযোগ থাকা সাপেক্ষে আমরা সাধারণ জনগণকেও সেবা দিতে চাই।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ঔদার্যে বিভাগীয় ও জেলা পুলিশ হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ মেডিক্যাল সার্ভিস গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, এনডিসি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার), এপিবিএন এর অ্যাডিশনাল আইজিপি মোশারফ হোসেন, বিপিএম, সিআইডির অ্যাডিশনাল আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল আইজিপি (এইচ আর এম) এস এম রুহুল আমিন, এন্টি-টেরোরিজম ইউনিট এর অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ কামরুল আহসান বিপিএম (বার), স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) ড.হাসান-উল-হায়দার বিপিএম সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এক লাখ পাঁচ হাজার বর্গফুটের নবনির্মিত এ ভবনে আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।