মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার বাকি রয়েছে আর কয়েক দিন। পশু কোরবানি করা ঈদুল আযহার অন্যতম প্রধান ইবাদত। আর তাই সামর্থ্যানুযায়ী ধর্মপ্রান মুসলিমরা কোরবানি দিয়ে থাকেন। গরিব ও আত্মীয়স্বজনকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাংস দেয়ার পর প্রায় সারাদিনই মাংস রান্না আর প্রক্রিয়াজাতকরণ করার কাজ চলতে থাকে। তবে সঠিক নিয়মে প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে অনেক সময় মাংস নষ্ট হয়ে যায়। তাই কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার উপায়গুলো জেনে নিতে পারেন এখান থেকে।
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের দরকারি পরামর্শ:
১. প্রথমে ডিপ ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। আলাদা আলাদা প্যাকেট করে ফ্রিজে মাংস রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।
২. মাংসের রক্ত ধুয়ে, ভালো মতো পানি ঝরিয়ে তারপর সংরক্ষণ করুন। এতে মাংস অনেকদিন ভালো থাকবে।
৩. ফ্রিজের তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রখুন। তাহলে মাংসে ব্যাকটেরিয়া ধরবে না। এতে করে গরুর মাংস ১২ মাস, খাসির মাংস ৬ মাস, মাথা, কলিজা ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
৪. মাংস বানানোর ৮-১০ ঘণ্টা পর মাংসে লবণ মেখে ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় জ্বাল দিন। জ্বাল দেওয়া মাংস অবশ্যই ভালোভাবে ঠাণ্ডা হলে সংরক্ষণ করুন।
৫. লবণ ও লেবুর রসের মিশ্রণ বানান। এবার মাংসের টুকারায় কাটাচামচ দিয়ে আঁচড় কেটে ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে মাংস অনেকদিন ভালো থাকবে।
৬. মাংসের টুকরা বড় বড় করে কেটে প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
৭. মাংস প্যাকেটে করে ফ্রিজে ঢোকানোর সময় প্যাকেটের গায়ে তারিখ লিখে রাখুন। এতে করে পুরো মাংসের লাদা করা সহজ হবে।
এছাড়াও জ্বাল দিয়ে ও রোদে শুকিয়েও মাংস সংরক্ষন করা যায়। জ্বালের প্রক্রিয়াতে হলুদ, লবন ও পানি দিয়ে দিনে দুইবার করে জ্বাল দিলে মাংস ভাল থাকবে। আর রোদে শুকানোর ক্ষেত্রে মাংসের চর্বি কেটে আলাদা করে মাংসকে ছোট আকারে কেটে ধুয়ে সামান্য হলুদ লবন মেখে তারে গেঁথে রোদে বা চুলার উপরে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে বায়ুরোধী কৌটায় সংরক্ষণ করতে পারেন। বেশ কিছুদিন রেখে খেতে চাইলে মাংসের কৌটাটি মাঝেমাঝে রোদে দিতে হবে।
মাংসে আছে উচ্চমানের প্রোটিন, যথাযথভাবে সংরক্ষণের অভাবে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মাংসের পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রাখতে সঠিক নিয়মে মাংস সংরক্ষণ করুন।