ডিএমপি নিউজ: কৌশলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে বিক্রি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ফাতেমা তুজ জোহরা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার খুলনার দৌলতপুর ও পাইকগাছা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, একটি চক্র কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তির আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে বিক্রি করত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে এসব ভিডিওর বিজ্ঞাপনও দিত তারা। গ্রেপ্তারকৃতরা কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তির পর্ণ সংগ্রহ করা ছাড়াও নিজেরা পর্ণো ভিডিও তৈরি করতো। ভিকটিমদের ব্ল্যাকমেইল করেও হাতিয়ে নিত কোটি কোটি টাকা। গত ১১ জুন রাজধানীর ভাটারা থানায় পাঁচ কোটি টাকা দাবি করার অভিযোগে মামলা করেন এ চক্রের শিকার এক ভিকটিম। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমকে। মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে খুলনার দৌলতপুর ও পাইকগাছা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মোবাইল ফোন ও ম্যাসেঞ্জার পর্যালোচনায় বিভিন্ন ব্যক্তির আপত্তিকর ভিডিও বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, দুবাই, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ও হিন্দি ভাষাভাষী ব্যক্তির কাছে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, অনেকেই এ চক্রের শিকার হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে তা প্রকাশ করেন না। যার কারণে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় ন। এ ধরণের কোন চক্রের ফাঁদে কেউ পরলে তাদেরকে থানায় মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
গ্রেফতারকৃতদের ভাটারা থানার মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।