চট্টগ্রাম বন্দরে ভিয়েতনাম থেকে আসা চালের একটি জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে এই খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। আাজ বুধবার বড় জাহাজটি জেটিতে ভিড়তে পারে। এর আগে ২০ হাজার টন চাল নিয়ে গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছে এমভি ভিসাদ। কিন্তু লাইটার জাহাজ জটিলতায় বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারছে না জাহাজটি। জেটিতে আনতে পাইলটিং এর জন্য বুকিং দিয়েও দুই দফা বাতিল করতে হয়েছে স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে।
জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইউনি শিপিং এর একজন কর্মকর্তা বলেন, বড় জাহাজের ড্রাফট বেশি থাকায় আড়াই হাজার টন চাল বহির্নোঙ্গরে খালাস করে জেটিতে আনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। ডব্লিউটিসি থেকে ভাল মানের লাইটার জাহাজ না দেওয়ায় রোববার ও গত সোমবার জেটিতে আনার জন্য বন্দরে পাইলটিং বুকিং বাতিল করেছি। আজ (গতকাল) মঙ্গলবার একটি জাহাজে লাইটারিং এর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি কাল বুধবার বড় জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারে। এদিকে গত সোমবার ২৭ হাজার টন চাল নিয়ে বহির্নোঙ্গরে পৌঁছেছে এমভি প্যাক্স নামে আরেকটি জাহাজ। ওই জাহাজ থেকে চালের নমুনা উত্তোলন করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর কাস্টসম শুল্ক আদায় করে খালাস কার্যক্রম শুরু করবে খাদ্য অধিদফতর।
জানা গেছে, খাদ্য অধিদফতর চালের গুণগত মান পরীক্ষা করে গত শনিবার (১৫ জুলাই) কাস্টমস শুল্ক আদায় করে। এর আগেই বহির্নোঙ্গরে আড়াই হাজার টন চাল খালাস করতে দুটি জাহাজ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলে সিরিয়াল দেয়। সে অনুযায়ী দুটি লাইটার জাহাজ পাঠায় ডব্লিউটিসি। কিন্তু চাল খালাস এবং পরিবহনের উপযোগী না হওয়া একটি জাহাজ ফেরত পাঠায় খাদ্য অধিদফতর। ফলে সেদিন খালাস কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। পরে আরেকটি জাহাজ পাঠালে সেটিতে দেড় হাজার টন চাল খালাস করা হয়। কিন্তু পরের জাহাজ অপরিচ্ছন্ন হওয়ায় পুনরায় বিলম্ব হয়। এতে চাল নিয়ে আসা জাহাজটি গত সোমবার পর্যন্ত বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারেনি।