ডিএমপি নিউজঃ বাংলাদেশ গত (২০১৭-১৮) অর্থবছরে ২০২টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে ৪১ দশমিক ৭৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। আজ (২২ অক্টোবর) সোমবার দশম সংসদের ২৩তম (শেষ) অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সরকারি দলের সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব তথ্য জানান।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। সরকারি দলের অপর সদস্য দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২৮ দশমিক ১৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা পূর্ববর্তী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ৫৫ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার লক্ষ্যে দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সংসদে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, জি-টু-জি প্লাস প্রক্রিয়ায় ২০১৭ সালে ৯৯ হাজার ৭৮৭ জন এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন। মন্ত্রী বলেন, বিদেশে অদক্ষ কর্মীর তুলনায় দক্ষ কর্মীর বেতন ও চাহিদা বেশি। এ লক্ষ্যে সরকার অধিক হারে দক্ষ কর্মী তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের আরো একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৭৭ দশমিক ৪২ মিলিয়য়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে নারী কর্মী সৌদি আরব যাচ্ছে। সরকারের শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সৌদি আরবে নারী কর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় পুরুষ কর্মীও যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে সৌদি আরবে নিরাপদ অভিবাসন ও অধিকহারে বাংলাদেশী কর্মী পাঠানোর বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।