ডিএমপি নিউজঃ মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় ‘ইতা’র প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও হাওয়ায় সৃষ্ট ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো জিয়ামাত্তেই বলেন, নিহত ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি একটি শহরের বাসিন্দা। পাহাড়ের একটি অংশ ধসে শহরটির ২০টি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে।
‘ইতা’ নামক ঝড়টি হ্যারিকেনের শক্তি ধারণ করে মঙ্গলবার প্রতিবেশী নিকারাগুয়ার উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে শুরু হয় মৌসুমী বৃষ্টি। এর পর শক্তি কমে প্রতিবেশী হন্ডুরাসে গিয়ে ঝড়টি ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে আবার শক্তি বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার আঘাত হানে গুয়াতেমালায়।
প্রেসিডেন্ট আলেজান্দো বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইতা অর্ধদিনের মধ্যেই যে পরিমাণ বৃষ্টি ঝরিয়েছে, তা প্রায় এক মাসের বৃষ্টির সমান। বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্যান ক্রিস্টোবাল ভেরপাজ শহরটি। উপায় না থাকায় পায়ে হেঁটে আমারা সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।
ইতার আঘাতে মধ্য আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হ্যারিকেনটি আঘাত হানার আগে নিকারাগুয়ায় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। দেশটির উত্তর উপকূলে এক খনিতে ভূমিধসে সেখানকার দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে প্রতিবেশী হন্ডুরাসে পানি বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার বাড়ির ছাদ থেকে ৫০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।