ডিএমপি নিউজ : রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় নিজ বাসায় মমতাজ বেগম নামে এক বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তার ছেলে ইমরান আহমেদের দোকানের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ রফিকুল ইসলাম মুন্না ও অপর একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি মোবাইল ফোন ও ৮০ হাজার টাকা। গতকাল সোমবার গেন্ডারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গেন্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গেন্ডারিয়ার ১০/২, ডি, ডিস্টিলারি রোডে নিজেদের বাড়ির দোতলায় মমতাজ বেগম ও তার ছেলে ইমরান আহমেদ বসবাস করেন। ইমরান বাংলাবাজারে মোটর পার্টসের ব্যবসায়ী। গত শনিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। সন্ধ্যায় মাকে ফোন করে ফোন বন্ধ পান। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বাসার দরজা লক করা। ইমরান বাসায় এসে তালা ভেঙে দেখেন, মায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। দুটি মোবাইল ফোন ও আলমারির তালা ভেঙ্গে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় আসামীরা । এ ঘটনায় ইমরান ওই দিনই গেন্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।
হত্যার কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, গ্রেফতরকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে চিন্তা করে কীভাবে তাদের মালিকের বাসায় চুরি করা যায়। বাসায় দোকান মালিক ইমরানের মা একাই থাকতেন ও তিনি বয়স্ক মানুষ এবং ইমরান ব্যবসায়ী হওয়ায় তাদের বাসায় অনেক টাকা সব সময় থাকে। তাই দোকান মালিক যখন দোকানে থাকবে সেই সুযোগে তারা কৌশলে তার বাড়িতে ঢুকে তার বাসায় রক্ষিত টাকা চুরির পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫ মে বিকেলে গ্রেফতরকৃতরা তাদের দোকান মালিক ইমরান আহমেদের ফ্ল্যাটে সুকৌশলে প্রবেশ তার মাকে খুন করে।
গ্রেতারকৃতদের গেন্ডারিয়া থানায় রুজুকৃত মামলায় আদালতে প্রেরণ করলে তারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।