ডিএমপি নিউজঃ আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদ্জ্জুামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
রাজধানীর মহাখালীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশ’র ট্রাফিক উত্তর বিভাগ ১২ জুন’১৭ বেলা ১২টায় সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন- একটি সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে। চালক, পথচারী, রোড ইঞ্জিনিয়ার, আইন প্রয়োগকারীসহ প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থানে নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সড়ক দূর্ঘটনা কমানো সম্ভব। এতে করে তিনি মনে করেন সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে সড়ক ইঞ্জিনিয়ারদের। উদাহরণ হিসেবে তিনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাঁকগুলোর কথা উল্লেখ করেন।
পথচারী হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে রাস্তা পারাপারে পথচারীকে ফুটওভার ব্রীজ, জেব্রা ক্রসিং ও আন্ডারপাস ব্যবহার করার আহবান জানান তিনি। ট্রাফিক এডুকেশন, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ট্রাফিক ল ইনফোর্সমেন্ট এর সঠিক ব্যবহারে ট্রাফিক যানজট কমানো সম্ভব।
তিনি বলেন- ডিএমপি জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাট, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করছে। ১৬ রোজা পার হতে যাচ্ছে ঢাকা শহরে কোন বড় ধরনের ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টির খপ্পরে জনসাধারণ পড়েনি। আমাদের ক্রাইম ও ইন্টেলিজেন্ট বিভাগ অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধ করেছে। আপনাদের নিরাপত্তা প্রদানে ডিএমপি সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। ছিনতাই, ডাকাতি, জঙ্গি ও সন্ত্রাস আমাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
কমিশনার আরও বলেন- আমরা গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে একের পর এক জঙ্গি আস্তানার আবিস্কার করে তাদের ধ্বংস করেছি। আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশের মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি। এদেশে কোন জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না আর কখনও হতে দিব না।
গাড়ি চালকদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন- গাড়ি চালনার সময় ট্রাফিক সিগন্যাল/ মার্ক দেখে গাড়ি চালাবেন। কোন অবস্থায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করবেন না। অজ্ঞান ও মলম পার্টিদের রুখতে গাড়িতে কোন প্রকার হকার উঠতে দিবেন না। এতে করে আপনি ও আপনার যাত্রী নিরাপদে থাকবেন। রাস্তায় কোন রকম লক্কর-ঝক্কর গাড়ি নামানো যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন- অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম ঠেকাতে গাড়িতে কোন রকম হকার উঠতে দেয়া হবে না। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় গাড়ির ছাদে যাত্রী নেয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। কোন রকম লক্কর-ঝক্কর গাড়ি রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না। ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে চালকদের গাড়ি চালনার আহবান জানান তিনি।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএমসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মালিক শ্রমিক সমিতি এবং মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।