স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সরকারের আন্তরিকতা ও উদারনীতির ফলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প অন্যতম শিল্প সেক্টরে পরিণত হয়েছে। দেশীয় চাহিদার শতকরা ৯৮ ভাগের বেশি ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের ১৬তম (বাজেট) অধিবেশনের ৫ম কার্যদিবসে জাসদের সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর-টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রয় ও উৎপাদনকারী ফার্মেসী ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর বিরুদ্ধে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনী সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকার কঠোরতা অবলম্বন করছে।
তিনি বলেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রয় ও উৎপাদনকারী ফার্মেসী ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত ২ হাজার ৭৭৫টি মামলা দায়ের করে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৬ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ সময় ৬৬ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে, ৩৮টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে এবং আনুমানিক ১৮ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।