বিমানবন্দরে চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছে- এই আতঙ্গে কাঠমান্ডু বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয় আধা ঘণ্টা। সোমবারের এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয় হয়। আর ওই সময়ে অন্য কোনো ফ্লাইটও ওঠানামা করেনি।
জানা গেছে, জনৈক পাইলট দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিতে একটি চিতাবাঘ দেখতে পান। পরে ওয়াইল্ডলাইফ ও নিরাপত্তকর্মীরা ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েও সন্ধান পাননি শ্বাপদটির। ধারণা করা হয়, চিতাটি কোনো ড্রেনের ভেতর লুকিয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন বিমানবন্দরের পাশেই রয়েছে হিমালয় রেঞ্জের পাহাড়শ্রেণি ও ঘন বনবনানী। সে সূত্রে কাঠমান্ডু শহর ও বিমানবন্দরে পথভোলা হিংস্র বন্যপ্রাণীর অনুপ্রবেশ নতুন কিছু নয়।
বিমানবন্দর কর্মকর্তা প্রেমনাথ ঠাকুর এএফপিকে জানান, আমরা ঘটনা জানার পর আধা ঘণ্টা বন্ধ রাখি এয়ারপোর্টের সব কর্মকাণ্ড, তবে কোনো চিতার সন্ধান মেলেনি।
একটিমাত্র রানওয়ে সম্বলিত এই বিমানবন্দরটিতে পাখি, কুকুর ও গবাদিপশুর কারণে হামেশাই বিঘ্ন ঘটে বিমান উড্ডয়ন-অবতরণে। ২০১৬ সালে ৯ জন যাত্রীসহ একটি প্লেন জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। আকাশে বাহনটির ডানা একটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়। আর ২০১২ সালে এই বিমানবন্দরের কাছেই দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৯ জন যাত্রী। ওই প্লেনটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিধ্বস্ত হয়েছিল উড়োজাহাজ।