প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সাম্প্রতিক চীন সফরে বাংলাদেশ ও চীন দু’ দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা আজ বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,‘চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেছেন, আমরা পরস্পরের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে থাকব। আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছি।’
‘তাঁর দেশ সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। একইসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একমত হন’,যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়ার্ল্ড ইকোনামিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) অংশ নিতে এবং চীনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খোচাং-এর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত চীন সফর করেন।
অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারস-এর জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন। এছাড়া, একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যান।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর এবারের চীন সফরে দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লি খোচাং, প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং এবং চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এ সব আলোচনার সময় সকল নেতাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং এই সমস্যা সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।’
তিনি চীনের দালিয়ান শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অ্যানুয়াল মিটিংয়ে যোগদান করেন এবং ‘কোঅপারেশন ইন দি প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা এবং বেইজিং’র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি ও স্বাক্ষরিত হয়।