এরা সকলেই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইক্রোবাস বা প্রাইভেটকার নিয়ে ছিনতাই করা এদের পেশা। অফিস ছুটির পর গাড়ির জন্য অপেক্ষামান কোন ব্যক্তিকে গন্তব্যে যাওয়ার কথা শুনে যাত্রি হিসেবে গাড়িতে তোলে। চক্রের অন্য সদস্যরা যাত্রি বেশে গাড়িতে অবস্থান করে। গাড়িতে তুলে চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করে সাথে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ, এটিএম কার্ড, নগদ টাকাসহ সবকিছু কেড়ে নেয়। তারপর তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। কোন ভিকটিমের সাথে এটিএম বা ক্রেডিট কার্ড থাকলে এই চক্রের সদস্যরা ভিকটিমকে নিয়ে রাত ১২টার একটু আগে এটিএম বুথে যায়, যাতে তারা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে দুইদিনের সম-পরিমান টাকা উত্তোলণ করতে পারে। টাকা উত্তোলণের পর ভিকটিমকে রাস্তায় ফেলে যায়।
এসব তথ্য খিলক্ষেত থানা পুলিশ জানতে পারে গত ৩ নভেম্বর, ২০১৮ ভিকটিম জামাল উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে। এই ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি মামলাও হয়। তদন্তে নামে থানা পুলিশ। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে থানা পুলিশ গত রাতে (৮ ডিসেম্বর, ২০১৮) মোহাম্মদপুর থেকে আফজালকে ও পীরেরবাগ এলাকা থেকে দিপু নামে দুইজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকালে থানা পুলিশ তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত গাড়ি, বিভিন্ন মডেলের মোবাইল, হাতঘড়ি ও ল্যাপটপ ইত্যাদি উদ্ধার করে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে থানা পুলিশ।