সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশকে ছয় প্রকল্পে ১৭৮ দশমিক ২২৩ বিলিয়ন ইয়েনের সমপরিমাণ ১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে জাপান। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।
গত ২৯ জুন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে বলে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইআরডির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা রোববার বলেন, জাপান আমাদের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী দেশ। জাপানের অর্থায়নে দেশে অনেকগুলো বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। গত ২৯ জুন জাপানে ছয়টি প্রকল্পের জন্য ঋণ চুক্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে নতুন এ ঋণ চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বন্ধ থাকা মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ছয় অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশকে জাপান যে ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় তা প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।
জাইকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১৬ কোটি মানুষ অধ্যুষিত বাংলাদেশ বিশ্বের ঘনবসতি দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ।প্রতি বছর দেশটি গড়ে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে সেলাই ও তৈরি পোশাক শিল্পে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। সস্তা শ্রম ও প্রচুর জনশক্তির কারণে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির মত জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বড় বাজার বাংলাদেশকে আগামী দিনের একটি সম্ভাবনাময় শিল্প কেন্দ্র ও বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত করেছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করার পথের ‘বাধা অপসারণে’ জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যে ৬ প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়া হচ্ছে সে প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ ও বর্তমান সেতু সংস্কার প্রকল্প ৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প (লাইন ওয়ান) এর জন্য ৪ কোটি ৯৮ মিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া মহেশখালীর মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। ঢাকায় ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ১ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ছোট আকারে পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে ১০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।