বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল সিউলে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অ্যাস্ট্রো সদস্য মুনবিনকে। তাঁর ম্যানেজার বিষয়টি তড়িঘড়ি পুলিশকে জানান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন এই পপস্টার। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবরা শোকাহত। সানহা এবং জিনজিনসহ এস্ট্রোর সদস্যরা বর্তমানে বিনের পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন, অন্যদিকে চা ইউন উ কোরিয়া ছেড়ে বর্তমানে আমেরিকায় গিয়েছেন।
কে-পপ গ্রুপ অ্যাস্ট্রোর একজন কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালের কেবিএস নাটক, বয়েজ ওভার ফ্লাওয়ারস-এ অভিনেতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অভিষেকের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। তার আগে বাচ্চাদের ফ্যাশন ব্র্যান্ডের মডেলিং করতেন তিনি।
২০১৬ সালে তিনি অ্যাস্ট্রোর সঙ্গে কে-পপ-এ আইডল হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর বয়স ছিল ১৮ এবং তিনি দলের কো-ভোকালিস্ট এবং মেইন ডান্সার ছিলেন। তিনি গান গাওয়া, নাচ এবং ব়্যাপ করার দক্ষতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।এ ছাড়া মুনবিন গান লেখা ও গানের সুরও করেছেন। তিনি ফুটপ্রিন্ট, ক্যান্ডি সুগার পপ এবং ম্যাডনেস সহ অনেক ট্র্যাক তৈরিতে অংশ নিয়েছিলেন।
মুনবিন তাঁর অনেক লেখা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন এবং আরোহার সঙ্গে যুক্ত হন। ২০২০ সালে তিনি সানহাকে নিয়ে অ্যাস্ট্রোর প্রথম সাব-ইউনিট গঠন করেন। তিনি মুমেন্টস অব আঠারো ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুনবিন ও সানহা তাদের তৃতীয় ইপি প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় ইপি রিফিউজি প্রকাশের ১০ মাস পর তারা ফিরে আসেন। এরপর মার্চ মাস অবধি বিশ্ব সফরে ছিলেন এই জুটি। তাঁদের সাম্প্রতিক কনসার্ট ছিল গত 8 এপ্রিল ব্যাংককে। এই সময়ে মুনবিন বমি বমি ভাবে ভুগছিলেন তবে তিনি ভক্তদের সুস্থ হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাংককে কনসার্ট চলাকালীন মুনবিন তাঁর ভক্তদের জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন, তবে তিনি জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন এবং নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে এবং ভক্তদের খুশির জন্য সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
আগামী শনিবার ২২ এপ্রিল, ম্যাকাওতে মুনবিন ও সানহা পারফর্ম করার কথা ছিল। আগামী ২৭ মে বুসান এশিয়াড মেইন স্টেডিয়ামে ‘ড্রিম কনসার্ট’-এও পারফর্ম করার কথা ছিল মুনবিনের।–জি নিউজ