ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে অজ্ঞাত গেরিলাদের সঙ্গে সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর ৩ জওয়ান নিহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে।
জানা গেছে, কুলগাম জেলার হালান এলাকায় গেরিলাদের উপস্থিতির খবর পেয়ে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেনা জওয়ান ও কুলগাম পুলিশ যৌথভাবে ঘেরাও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। এ সময়ে গেরিলারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তল্লাশি অভিযান সংঘর্ষে পরিণত হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩ জওয়ান আহত হন এবং তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে পুলিশ বলেছিল, আহত সেনা সদস্যদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ৩৭০ ধারা অপসারণের চতুর্থ বার্ষিকীর প্রাক্কালে এই সংঘর্ষ এবং সেনা সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।
এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে, পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলায় দু’টি পৃথক সংঘর্ষে পাঁচজন এলিট কমান্ডোসহ ১০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছিল। গত ৫ মে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে অজ্ঞাত গেরিলাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ সেনা জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। কান্দির জঙ্গলে গেরিলাদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়, এতে ৫ সেনা জওয়ান নিহত হন।
গত ২০ এপ্রিল, গেরিলারা জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে করে। এর পর ট্রাকে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় ল্যান্স নায়েক দেবাশীষ বাসওয়াল, ল্যান্স নায়েক কুলবন্ত সিং, কনস্টেবল হরকিশান সিং, কনস্টেবল সেবক সিং এবং হাবিলদার মনদীপ সিং নামে ৫ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। নিহত সেনা জওয়ানের মধ্যে ৪ জন পাঞ্জাবের এবং ১ জন উড়িষ্যার বাসিন্দা ছিলেন।
সেময়ে নর্দার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টার থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাদের বহনকারী ট্রাকটি ভিম্বার গালি থেকে পুঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। বৃষ্টি হচ্ছিল, দৃশ্যমানতাও ছিল খুবই কম। এর সুযোগ নেয় সন্ত্রাসীরা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শহীদ হওয়া সেনারা ছিলেন, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের। এলাকায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে তাদেরকে মোতায়েন করা হয়েছিল।খবর:পার্সটুডে