ডিএমপি নিউজঃ আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ব্যতীত কোন কিছু সঙ্গে আনতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার)।
আজ রবিবার (১ মে, ২০২২) সকাল ১১ টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
সম্মানিত নাগরিকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমাদের এই শহরে ঈদগাহের সংখ্যা কম। ঈদগাহ ও মসজিদ মিলে ১৪৬৮টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কোন কোন জায়গায় হয়তো একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরে মুসলমান ভাইয়েরা ঈদ উদযাপন করবেন। প্রতিটি মসজিদ এবং ঈদগাহে যেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে তার প্রত্যেকটা জায়গায় আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে”।
গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগে থেকেই ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে।
তল্লাশি করতে সময় লাগার কারণে ঈদগাহের জামাতে আগত মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের একটু আগে আসার অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার। ঈদগাহে প্রবেশের পূর্বে সবাইকে তল্লাশি করা হবে, এজন্য গেইটে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হলেও সবাই ধৈর্য্যসহকারে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমাদের ৫০টা থানায় অতিরিক্ত ফোর্স দিয়েছি, ২৫০০ ফোর্স প্রতি রাত্রে ডিউটি করবে। প্রতি থানা থেকে ১০টা করে মোট ৫০০টি মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। ঢাকা শহরকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক চেকপোস্ট থাকবে। ইতোমধ্যে থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে প্রায় ৫০০ ছিনতাইকারী ও চোরকে গ্রেফতার করেছে”।
তিনি বলেন, “ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে আমাদের টিম থাকবে, সেখান থেকে মনিটর করা হবে কোথাও কোন অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে কিনা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
নিজের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে দেওয়া পুলিশের নিরাপত্তা কৌশল প্রতিপালনের অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণপদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান, বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।