প্রকৃতিতে সদর্পে বিরাজমান বর্ষা। কয়েক দিন ধরেই কখনও মুষলধারে, কখনও ঝিরিঝিরি ঝরছে শ্রাবণের শ্রাবণধারা। আজও দিনভর ছিলো তারই আবহ। শ্রাবণের এমনই ঝরোঝরো শ্রাবণধারার ছন্দে মাতোয়ারা আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বর্ষার গানের ‘কি হাওয়ায় মাতালো’ শীর্ষক বর্ণিল আয়োজন। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রবিরশ্মি’র আয়োজনে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
কবিগুরুর ২২টি বর্ষার গান দিয়ে সাজানো এই আয়োজনের শুরুতেই ছিলো আলোচনা অনুষ্ঠান। এর প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য দেন রবিরশ্মির পরিচালক ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মহাদেব ঘোষ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনটির অন্যতম উপদেষ্টা ও রুপালী ব্যাংক লিমিটেডের ডি.জি.এম বিষ্ণুপদ চৌধুরী। এরপরই শিল্পী মহাদেব ঘোষের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় শুরু হয় বর্ষার গান পরিবেশন।
প্রথমেই সংগঠনটির শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে’ শীরোনামের একটি গান। পরে সম্মেলক কণ্ঠে তারা গেয়ে শোনান ‘ওই কি এলে আকাশ পারে’ ও ‘বুঝি এলো, বুঝি এলো ওরে প্রাণ’ শীর্ষক আরও দুটি গান। এরপর টানা তিনটি একক গান। প্রথমেই একক গান পরিবেশন করেন সিলভিয়া সমদ্দার। তিনি গেয়ে শোনান ‘উতল ধারা বাদল ঝরে’ শীর্ষক কবিগুরুর একটি গান। তারপরেই ‘আজি হৃদয় আমার’ গানটি গেয়ে শোনান উত্তম কুমার শর্মা এবং ‘পূব হাওয়াতে দেয় দোলা’ শীর্ষক গান পরিবেশন করেন ফারহিন ইসলাম। অতঃপর ‘এসো নীপবনে ছায়বীথি তলে’ শীর্ষক একটি সম্মেলক গানের পরে ফের টানা তিনটি একক গান। ‘আমার নিশীতরাতের’, ‘আজি ঝরঝর মুখর বাদরদিনে’ ও ‘‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিন’ শীর্ষক তিনটি গান পরিবেশন করেন যথাক্রমে-দীপ্তি চৌধুরী, মাহদী সাবিয়ার রহমান ও রাজিব ফেরদৌস। এরপর আরও দুটি সম্মেলক গানের মাঝে একটি করে চারজন শিল্পী পরিবেশন করেন চারটি একক গান। এ চারটি একক গানের শিল্পীরা হলেন-বিষ্ণুপদ দাস, শারমিন আক্তার স্বর্ণা, দীপা ধর, পারমিনা তোড়া উইলিয়াম। এবং দুটি করে একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী রাবেয়া অক্তার ও মহাদেব ঘোষ।
শ্রাবণের আজ দশ দিনের ঝরঝর মুখর বাদল দিনের সন্ধ্যায় সংগঠনের শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে দুটি গান পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শেষ এই আয়োজন। গান দুটি হলো-‘শ্যামল ছায়া নাইবা গেলে’ ও ‘যয়ি দিন শ্রাবণ দিন যায়’।