জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো উন্নত প্রযুক্তিতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য সপ্তাহব্যাপি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। জাতীয় জাদুঘর ও ‘কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র আয়োজনে আজ থকে শুরু হয়েছে সাতদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী আয়োজন। এ আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এসময় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়ং, কোরিয়া কালচারাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি লি হিয়াং সু এবং কোইকা’র বাংলাদেশের পরিচালক জো হুন-গু। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
জাদুঘরের সচিব মো. শওকত নবী’র স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উন্নত প্রযুক্তির সাথে সংরক্ষণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, প্রতিদিন ২৫০০ জনের উপর দর্শনার্থী আসেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এবং এই জাদুঘরে আছে বাংলাদেশের সব থেকে বড় সংরক্ষণাগার। যথাযথ ট্রেনিং এই সংরক্ষণাগারের উপযুক্ত ব্যবহারে সহায়তা করবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জাদুঘরে বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বস্তুসমূহ সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়। এদেশের ঐতিহ্য অত্যন্ত রঙ্গিন ও সমৃদ্ধশালী। এই সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এই ট্রেনিং জাদুঘরের কর্মকর্তাদের এসব মূল্যবান ঐতিহ্য সংরক্ষণে আরো দক্ষ করে তুলবে। তিনি বলেন, বাংলদেশ এখন নিম্নবিত্ত দেশ থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশে রুপান্তরিত হয়েছে। বাংলদেশের এই সাফল্যের পেছনে যেসব দেশের সমর্থন রয়েছে কোরিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম।
বিশেষ অতিথির ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়ং বলেন, এই ট্রেনিং টেকনিশিয়ানদের কর্ম দক্ষতা বহুগুণ বাড়াবে। তিনি বলেন, কোরিয়া এবং বাংলাদেশের সুসম্পর্কের একটি নিদর্শন হচ্ছে এই কর্মসূচি। এই ধরনের কর্মসূচি দু’দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে। এই ধরনের ট্রেনিং কর্মসূচির মাধ্যমে কোরিয়া বাংলাদেশকে সামনেও সহায়তা করে যাবে বলে তিনি জানান।
সভাপতির ভাষণে জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি যা জাদুঘরে আছে তার সঠিক ব্যবহার জানা খুবই প্রয়োজন। সেই জন্যেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের পূর্বে এই কর্মসূচি সম্পন্ন করার পেছনে জাদুঘরের কর্মকর্তাদের চেষ্টার পাশাপাশি ‘কোইকা’র সমর্থনও রয়েছে।