সফরকারী জিম্বাবুয়েকে প্রস্তুতি ম্যাচে অনেকটা হেসেখেলেই হারালো বিসিবি একাদশ। শুক্রবার ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় দেখে স্বাগতিকরা। ফর্ম ধরে রেখেছেন সৌম্য সরকার। প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি হাঁকান জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ব্যাটসম্যান। সাভারের বিকেএসপিতে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে ৪৬.৩ ওভারে ১৭৮ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা। জবাবে ১১ ওভার বাকি রেখেই টার্গেট পূরণ করে বিসিবি একাদশ। হার না মানা ১০২ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক সৌম্য সরকার। ১১৪ বলের ইনিংসে ১৩টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান সৌম্য।
অপেক্ষাকৃত ছোট টার্গেটে বিসিবি একাদশের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় মাত্র ১১ রানে উইকেট খোয়ান ওপেনার মিজানুর রহমান। ভালো করতে পারেননি প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ব্যাটসম্যান ফজলে রাব্বি মাহমুদও। ৩৪ বল মোকাবিলায় ১৩ রান করেন ফজলে রাব্বি। তবে তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১২৯ রানের জুটি গড়েন সৌম্য ও জাতীয় দলের বাইরে থাকা অপর ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অপরাজিত ইনিংসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। পরের ওভারে সাইফুদ্দিনের বলে সাজঘরে ফেরেন ব্রেন্ডন টেইলর। জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। এক পর্যায়ে ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশাহারা দেখাচ্ছিল সফরকারীদের। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস সামাল দেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ষষ্ঠ উইকেটে মাসাকাদজা ও এলটন চিগুম্বুরা গড়েন ১২৮ রানের জুটি। ৪৪তম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে চিকুম্বুরাকে বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন। আর ১৩৪ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রান করে এবাদতের বলে আউট হন ওপেনার মাসাকাদজা। বিসিবি একাদশের হয়ে ৯ ওভারের স্পেলে ১৯ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন এবাদত। আর ৭.২ ওভারের স্পেলে ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন সাইফুদ্দিন। ৪৫তম ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান পেসার হান্টের আবিষ্কার এবাদত হোসেন । অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক মিস করেন তিনি। চার বলের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নেন এবাদত।