হাওর এলাকায় হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে বিপুল এলাকার বোরো ধানের জমি তলিয়ে যাওয়া এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অকাল বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, ব্লাস্টরোগ ও সাম্প্রতিক বন্যায় এবার চালের উৎপাদন কম হয়েছে।
বিষয়টি অনুধাবন করে সরকার বেসরকারি আমদানিকারকদের সুবিধা দিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয় । এছাড়া সরকারিভাবেও বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরে চালের উৎপাদন কম হয়েছে। এ কারণে চালের ঘাটতি মেটাতে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে জি টু জি (সরকার থেকে সরকার) প্রক্রিয়ায় ১৫ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে নয় লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। আরও পাঁচ লাখ টন চাল আমদানি চূড়ান্ত করতে এ মাসেই বাংলাদেশ আসছে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দল। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ভিয়েতনামের সঙ্গে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি সম্পন্ন করেছে সরকার। চালের সরবরাহও শুরু হয়েছে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া গত সোমবার মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি সম্পন্নসহ মোট নয় লাখ টন চাল আমদানির (জি টু জি) চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যে দুই লাখ টন চাল দেশে পৌঁছেছে। দেড় লাখ টন চাল আসছে (রাস্তায়)। আগামী অক্টোবর মাসে আরও আসবে তিন লাখ টান। বাকি আড়াই লাখ টন চাল ১২ নভেম্বরের মধ্যে চলে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জি টু জি পদ্ধতিতে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে আরও পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। চালের দাম ঠিক করতে ২৪ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম এবং ২৬ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। তারা খাদ্য সচিবের নেতৃত্বে জি টু জি পদ্ধতিতে ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে। দরদামের বিষয়ে উভয় দেশ একমত হলে চুক্তি সই হবে।