আমাদের নানা রকমের রান্নাবান্নায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো কালো জিরা। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও প্রাচীন কাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। কালো জিরাতে রয়েছে ফসফেট, ফসফরাস আর আয়রন। এই সব খনিজ উপাদান শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আসুন তাহলে জেনে নেই কালো জিরার আশ্চর্য সব স্বাস্থ্যগুণ-
১) পেটের সমস্যায় খাবারে রাখুন কালো জিরা। ভাজা কালো জিরা গুঁড়ো করে আধা কাপ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে তা পেটের অনেক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।
২) কালো জিরাতে থাকা ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালো জিরা অত্যন্ত কার্যকরী।
৩) অনেকেরই বর্ষাকালে মাথা যন্ত্রণা বা মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটা কাপড়ে কালো জিরা বেঁধে তা রোদে শুকাতে দিন। এরপর তা নাকের কাছে ধরলে মাথায়, বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মা সহজেই বেরিয়ে যায়। আর মাথা যন্ত্রণার অস্বস্তিও কমে যায়।
৪) কালো জিরাতে থাকা আয়রন আর ফসফেট শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পথ্য হিসেবে কালো জিরা খুবই কার্যকরী।
৫) কালো জিরা দুর্দান্ত অ্যান্টি টক্সিনের কাজ করে। তাই নিয়মিত ও পরিষ্কার প্রস্রাবের জন্য পাতে রাখুন কালো জিরে। মুত্রথলির সংক্রমণ ঠেকাতেও কালো জিরা খুবই কার্যকরী।
৬) সর্দি-কাশি দূর করতে এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়।
৭) যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালোজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খান।
৮) ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালোজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৯) স্মরণ শক্তি বাড়াতে নিয়মিত কালোজিরা খান। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। যার দরুন স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে এটি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে।
১০) চুল পড়া রোধে নিয়মিত কালোজিরা খান, চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করুন।