প্রোটিনের প্রধান উৎস হিসেবে প্রথম সে খাবারটির নাম আসে তা হল ‘ডিম’। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই ডিমের খোসা আমরাকী করি? ফেলে দেই নিশ্চয়ই? কিন্তু আপনি জানেন কি, এই ফেলনা ডিমের খোসায় যা রয়েছে অসাধারণ কিছু ব্যবহার।
আসুন তাহরে জেনে নেই ডিমের খোসার ভিন্ন কিছু ব্যবহার-
১। দ্রুত জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতেঃ একটি পাত্রে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং একটি ডিমের খোসা ভেঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। এবার এটি রেখে দিন যতদিন পর্যন্ত না ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারের সাথে মিশে না যায়। মোটামুটি ২ দিন রেখে দিলে ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারের সাথে মিশে যাবে। ডিমের খোসায় কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড থাকে যা ভিনেগারের সাথে মিশে ব্যথা উপশম করে দেয়।
২। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিঃ ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং মিনারেল রয়েছে যা আপনার বাগানের উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে নিন এবার এটি মাটিতে ব্যবহার করুন।
৩। বাসন-পত্র পরিষ্কার করতেঃ অনেকসময় খাবার রান্না করতে গিয়ে হাঁড়ি পাতিলের নিচে লেগে যায়। এই পোড়া দাগ দূর করতে ডিমের খোসা সাহায্য করবে।
৪। কফি মিষ্টি করতেঃ কফির তেতো স্বাদের কারণে অনেকেই এটি খেতে চান না। এই তেতো স্বাদ দূর করার জন্য কিছু পরিমাণে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে কফির সাথে মিশিয়ে দিন। ডিমের খোসা কফির নিচে পড়ে থাকবে আর কফির তেতো স্বাদ দূর করে দিবে।
৫। পোকামাকড় দূর করতেঃ বাগানকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে ডিমের খোসা। বাগানে চারপাশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। এমনকি গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে দিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার গাছ পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৬। ময়লা জমে যাওয়া ড্রেন পরিস্কার করতেঃ অনেকসময় রান্নাঘরের সিঙ্ক এ ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা করে সমাধান করে দিবে ডিমের খোসা। ডিমের খোসা মিহি গুঁড়ো করে জমা ড্রেনের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর বেশি করে জল ঢেলে দিন। দেখবেন ড্রেন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
৭। ত্বক পরিষ্কার করতেঃ ১টি ডিমের সাদা অংশ, এবং এক বা দুটি ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। তারপর কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দেখুন ত্বক কেমন নরম কোমল হয়ে গেছে।