ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যের অনেকখানিই নির্ভর করে দুর্গন্ধমুক্ত মুখগহ্বরের ওপর। কিন্তু দুর্গন্ধ বা দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস অনেক সময়ই বিরক্তিকর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা এড়ানোর জন্যই অনেকে মাউথওয়াশ বা মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেন। কিন্তু সাময়িক দুর্গন্ধ দূর হলেও মাউথওয়াশ বড় বিপদ ডেকে আনে বলে দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের ভেতরে কলোনি তৈরি করে কিছু ব্যাকটেরিয়া। এগুলো যখনই সুযোগ পায় ক্ষতি করে দাঁতের, সেই সঙ্গে মুখে গন্ধ সৃষ্টি করে।
আসুন তাহলে জেনে নেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়-
নারকেল তেলঃ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা নিমেষে মুখে গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়াদের মেরে ফেলে। রোজ সকালে নারকেল তেল মুখের ভিতর হালকা হাতে মালিশ করুন, তারপর কুলকুচি করে ধুয়ে ফেলুন।
লবঙ্গ ও ছোট এলাচঃ মুখে ১-২টো লবঙ্গ বা ২-৩টে ছোট এলাচ ফেলে রাখুন। এর অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান মুখে গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়াদের মেরে ফেলে।
লেবুর রসঃ নিয়মিত লেবুর রস খান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড মুখের ভিতরে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে।
মেথিঃ এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মেথি মিশিয়ে ফোটান। এবার, মেথি ছেঁকে, জলটা চায়ের মতো খেয়ে নিন। এই পানীয়কে অনেকে বলেন মেথি চা।
বেকিং সোডাঃ শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডার কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন এক গ্লাস জলে অল্প পরিমাণে বেকিং সোডা মিশিয়ে, সেই জল দিয়ে কুলকুচি করুন।
পুদিনা পাতাঃ পুদিনাকে প্রাকৃতিক ‘মাউথ ফ্রেশনার’ বলা হয়। রোজ নিয়ম করে ২-৩ টে পুদিনা পাতা চিবিয়ে খান।
মৌরিঃ এতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটেরিয়াল প্রোপার্টিজ, যা মুখ গহ্বরে তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলো মেরে ফেলে। ফলে দুর্গন্ধে বদলে যায় সুগন্ধে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারঃ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতে খাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিয়ে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করতে হবে।