ডিএমপি নিউজঃ সরিষার তেল ভেষজ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটি ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং সহজেই হজমকারক। শ্বাসনালি এবং মূত্রনালি ও ব্রঙ্কাইটিস ইনফেকশন সারাতেও সরিষার তেল বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ তেলে রোগের জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা রয়েছে।
এছাড়াও সরিষার তেলে রয়েছে এমন অনেক গুণ যা হয়ত আমাদের জানা নেই। আসুন জেনে নেই নানা গুণের সরিষার তেলের উপকারিতা-
হাড়ের ব্যথাঃ শরীরে হাড়ের ব্যথায় অনেকেই কষ্ট পান। এর থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল। সরিষার তেল আর আদা এই দুটোতে এমন উপাদান থাকে যা প্রদাহজনিত উৎসেচকের ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেলে পরিমাণ মতো কর্পূর মেশান। তেলটা গরম করে ঠান্ডা হতে দিন। এবার সেই তেল মালিশ করুন।
ত্বকের যত্নেঃ সরিষার তেলে এমন অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের জন্যে ভীষণ উপকারী। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং পরিমাণমতো ভিটামিন এ। ব্রণ হোক বা ট্যান পড়া- সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগে এই তেল। এছাড়াও মুখের কালো দাগ ও ব্রণের জন্যে দু চামচ সর্ষের তেল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ নারকেল তেল মেশান। এর মধ্যে এক চামচ লেবুর রস আর দু চামচ টক দই দিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলুন।
হার্ট ভালো রাখেঃ হার্টের সমস্যার কারণে খাবার থেকে তেল বাদ দিতে বলেন অনেক চিকিৎসক। অনেকে রান্নায় সয়াবিন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। তবে পরিমিত খেতে পারলে সরিষার তেল হার্টের পক্ষে ভালো। এতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে তোলে।
ঠান্ডার সমস্যা থেকে বাঁচায়ঃ ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডার সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই। ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা নিলে ঠান্ডার সমস্যায় কাজে লাগে সরিষার তেল। দুই হাতে তেল নিয়ে বুকে ম্যাসাজ করুন। এটি বুকে জমে থাকা কফ বের করতে সাহায্য করবে। নাক বন্ধ হলে একবাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিন। এবার সেই পানি গরম করে তার ভাপ নিন।
রক্ত ভালো রাখেঃ শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে সরিষার তেল। শরীরের ক্লান্তপেশীগুলোকে উজ্জীবিত এবং সবল রাখে। সরিষার তেল শুধু কোলেস্টেরল কমায় না, সাথে লোহিত রক্ত কণিকার গঠনে ভূমিকা রাখে।