দ্বাদশ বিশ্বকাপে আগামীকাল নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বৃষ্টিও বাধা হতে পারে বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের পথে। তবে শ্রীলঙ্কা ও বৃষ্টির সাথে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার কোচ হাথুরুসিংহে। তার আগে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন লঙ্কানদের সাবেক এই ক্রিকেট খেলোয়াড়। তাই বাংলাদেশের সব খেলোয়াড় সর্ম্পকে ভালো ধারণা আছে তার।
২০১৪ সালের মেতে বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন হাথুরুসিংহে। এরপর বাংলাদেশকে সাফল্যের স্বাদ দিতে থাকেন। খেলোয়াড়দের বোঝাপড়াটা জমিয়ে তুলেন তিনি। মাঠের পারফরমেন্সে দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহী করেন হাথুরুসিংহে। সেই প্রমান পাওয়া যায় ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলের কোয়ার্টারফাইনাল খেলা থেকে।
বিশ্বকাপের শেষ আটে বাংলাদেশকে তুলেই ক্ষান্ত হয়ে যাননি হাথুরুসিংহে। একাদশ বিশ্বকাপ শেষে দেশের মাটিতে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজে জয়ে প্রধান ভূমিকাও ছিলো এই কোচের। এছাড়া শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জয়, দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ও ছিল হাথুরুসিংহে অধীনে।
টেস্টের চেয়ে ওয়ানেডেতে বেশি উন্নতি করে বাংলাদেশ। র্যাংকিংয়ের সেরা আটে থেকে টাইগাররা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেখানেও চমক দেখিয়ে গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরিয়ে সেমিফাইনালে খেলে মাশরাফি-হাথুরুসিংহের দল। কিন্তু সেমি থেকেই নিজেদের মিশন শেষ করতে হয় বাংলাদেশকে। হাথুরুসিংহের অধীনে ১৭ টেস্টে ৫জয়, ৮হার ও ৪টি ড্র, ৫১ওয়ানডেতে ২৫টি জয়, ২৩টি হার ও ৩টি টাই/পরিত্যক্ত ও ২৯টি টি-২০ ম্যাচে ১০টি জয়, ১৯টি হার ও ২টি টাই/পরিত্যক্তের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ।
২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন হাথুরুসিংহে। এরপর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেন দেশের হয়ে ২৬ টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে খেলা এই রাশভারী কোচ।