গত শনিবার লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে হামলা নির্বাচনের আগে বিপাকে ফেলে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে কে। নিরাপত্তার ব্যাপারে মে’র পুলিশ কাটছাঁটের অতীত রেকর্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক মানুষই তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনও। জনমত জরিপগুলোতেও তার জনসমর্থনও ক্রমশ কমতে দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে গত তিন মাসেরও কম সময়ে তিন তিনটি সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে লন্ডন ব্রিজ ও পাশের বারা মার্কেটে হামলায় সাত জন নিহত এবং আরও ৪৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেখানে তিন হামলাকারী একটি ভ্যান নিয়ে এবং ছুরি হাতে মাত্র ৮ মিনিটে রক্তাক্ত এই তাণ্ডব চালায়।
নির্বাচনের একেবারে আসন্ন সময়ে এ হামলা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়তে থাকায় মে’র পুলিশ কমানোর বিষয়টি এখন নতুন করে নির্বাচনী আলোচ্যসূচির শীর্ষে উঠে এসেছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে পুলিশ কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার কমিয়েছিলেন। মে’র নেতৃত্বধীনেই পুলিশের সংখ্যা এত কমেছিল। আর এখন তিনি নিরাপত্তায় সমস্যার কথা বলছেন, এটি নিয়ে বহু মানুষই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।