ডিএমপি নিউজঃ টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ রাশেদ হোসেন প্রান্ত ও মোসাঃ মৌসুমী খাতুন।
বুধবার (২০ এপ্রিল ২০২২) রাজশাহী মহানগরের শাহ মখদুম থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি সাইবারের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তাদের হেফাজত থেকে ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও বিভিন্ন ডাক্তারের নামে ১৩টি ফেসবুক আইডি এবং ৩টি হোয়াটসঅ্যাপ আইডি জব্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান EW VILLA MEDICA এর চীফ লিগ্যাল অফিসার মোঃ আবু সাঈদ গত ৩১ মার্চ একটি ফেসবুক আইডিতে তাদের প্রতিষ্ঠানের এক ডাক্তারের নাম ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া প্রেসক্রিপশন দেখতে পান। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিল শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়”।
তিনি বলেন, “মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমকে। টিমটি তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় চক্রটিকে শনাক্ত করে। পরবর্তী সময়ে বুধবার রাজশাহী মহানগরের শাহ মখদুম থানা এলাকা তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করে”।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “গ্রেফতারকৃত মোঃ রাশেদ হোসেন প্রান্ত রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও মোসাঃ মৌসুমী খাতুন ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের ৩ বর্ষের নার্সিং শিক্ষার্থী এবং তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী। তারা করোনাকালে জনপ্রিয় ডাক্তারদের নাম পদবী ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলে। এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে কন্ঠ পরিবর্তন করে কখনো ডাক্তার কখনো বা সহকারী সেজে চর্ম, যৌনসহ একাধিক রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতো। তারা প্রায় দুই বছর যাবত এ কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে”।
যেকোন অসুস্থতায় সংকোচবোধ না করে সরাসরি বিশেষজ্ঞ বা পরিচিত ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া এবং সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন ডিবির এই কর্মকর্তা।
ডিএমপির ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, পিপিএম এর নিদের্শনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে সাইবার সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।