মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘নীতিহীন’, ‘মিথ্যুক’ ও ‘নিষ্ঠুর’ আখ্যা দিয়েছেন তার বড় বোন ম্যারিঅ্যান ট্রাম্প ব্যারি। তিনি বলেছেন, কোনভাবেই ট্রাম্পকে বিশ্বাস করা যায় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বড় ভাইয়ের মেয়ে ম্যারি ট্রাম্পের গোপনে রেকর্ড করা অডিও বার্তায় ম্যারিঅ্যানকে এসব কথা বলতে শোনা গেছে। খবর: ওয়াশিংটন পোস্ট
ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে ট্রাম্পের বড় বোন বলেছেন, কোনো ভাবেই ট্রাম্পকে বিশ্বাস করা যায় না। গত বছর মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য ও পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন ম্যারিঅ্যান। সে সময় অভিবাসন প্রত্যাশী পরিবারের শিশুদের তাদের মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ম্যারিঅ্যান অডিওতে বলেন, ‘ওর (ডোনাল্ড ট্রাম্প) কোনও নীতি নেই। একদমই নেই। আর ওর মূল্যবোধ সম্পর্কে কী বলব, ‘হায় ঈশ্বর… আপনি যদি ধার্মিক হন, তাহলে আপনি চাইবেন কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৭৪ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে হতাশ ব্যারি বলেন, ‘ওর যত্তসব ফালতু টুইট আর মিথ্যাচার,হায় ঈশ্বর। খুব বেশি সরাসরি হয়তো বলে ফেলছি কথাগুলো… ওর কথার ঠিক নেই। প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। মিথ্যাচার তো আছেই।’
সম্প্রতি ট্রাম্পের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তার ভাইয়ের মেয়ে ম্যারি ট্রাম্পের লেখা ‘হাউ মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান’ (কীভাবে আমার পরিবার বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মানুষের জন্ম দিয়েছে) শিরোনামে বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ম্যারি তার চাচা ট্রাম্প সম্পর্কে নানা তথ্য কোথায় পেয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যারি ট্রাম্প জানান,২০১৮-১৯ সালের মধ্যে ব্যারির সঙ্গে তার কথোপকথনের ১৫ ঘণ্টার অডিও টেপ রয়েছে, যেগুলো তিনি গোপনে রেকর্ড করেছেন। শনিবার রাতে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ম্যারির একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ম্যারির লেখা বহুল আলোচিত বইটি প্রকাশিত হয় গত ১৪ জুলাই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছিল, প্রকাশের প্রথম দিনেই বইটির প্রায় ১০ লাখ কপি বিক্রি হয়। ম্যারি ট্রাম্প হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ভাই ফ্রেড ট্রাম্পের মেয়ে। বইয়ে ট্রাম্পের ঔদ্ধত্য ও অবহেলার অনেক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বইটির প্রকাশ থামিয়ে দিতে নানা চেষ্টা চালিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু তারা তাতে ব্যর্থ হয়েছে।