ডিএমপি নিউজ: ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) বলেছেন, ট্রেনে ও বাসে যে জ্বালাও-পোড়াও করা হচ্ছে প্রায় প্রত্যেকটি ঘটনায় নাশকতাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও প্রদান করেছেন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা কোন অবস্থাতেই পার পাবে না।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহতদের দেখতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের লোকজন কিছুদিন যাবৎ হরতাল এবং অবরোধের নামে জনগণের জীবন ও সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে, এই নাশকতা (মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে) সেই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে। যারা অবরোধ করছে, যারা হরতাল করছে, তারাই এটি করছে। ইতোপূর্বে যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা ধরাও পড়েছে।
এসব নাশকতা যারা করেছে তারা এই হরতাল ও অবরোধকারীদের একটি অংশ এবং এটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অংশ বলে মনে করেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, এই নাশকতা যারা ঘটিয়েছেন তাদের শনাক্ত করার জন্য ডিএমপি, রেলওয়ে, সিআইডিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১১ টায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস আজ ভোর পাঁচটায় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছে। সেখান থেকে কমলাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করলে যাত্রীরা “জ” বগিতে হঠাৎ করে আগুন দেখতে পায়। অনেকেই দরজা জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নেমে যান। সেই আগুনে চারজন পুড়ে মারা যান। এদের মধ্যে নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের শিশু ইয়াছিনও রয়েছেন। অন্য দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তারা এমনভাবে পুড়ে গেছেন, তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তাদের পরিচয় শনাক্তে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ডিএনএ সংগ্রহ করছে।