ডিএমপি নিউজ: বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পেশাগত কাজে অবদান রাখার জন্য ডিএমপির ৭৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য এ বছর চার ক্যাটাগরিতে বিপিএম-পিপিএম পদক পেতে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে দুইজন মরণোত্তর পদক (বিপিএম, সাহসিকতা) পাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” , ৬০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা” এবং ২১০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা” সর্ববোট ৪০০ জনকে পদক প্রদান করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এরমধ্যে ডিএমপির ৭৩ জন সদস্য রয়েছেন।
“বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” পদক পেয়েছেন ডিএমপির ১০ জন। তারা হলেন- অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম (মরণোত্তর), বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় প্রাণ হারানো সিটিটিসির কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম (মরণোত্তর)। বাকি ৮ জন হলেন- রমনার উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম, মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান পিপিএম, উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসান পিপিএম-বার, প্রটেকশন বিভাগের নায়েক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মতিঝিল থানার কনস্টেবল মো. মাহাফুজার রহমান, পিওএম-উত্তর বিভাগের কনস্টেবল জাহিদ হাসান হৃদয় ও একই বিভাগের কনস্টেবল মো. আবু মোতালেব ও কনস্টেবল মো. হাবিবুর রহমান নয়ন।
“বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা” পদক পেয়েছেন ডিএমপির ৯ জন। পদক প্রাপ্তরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান পিপিএম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম-বার, উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু ইউসুফ, গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, গোয়েন্দা- সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার তারেক আহমদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব উন নবী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম পিপিএম।
“রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” পদক পেয়েছেন ডিএমপির ২৫ জন। পদক প্রাপ্তরা হলেন- উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসান তালুকদার, সিটিটিসির উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জসীম উদ্দিন, সিটিটিসির উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসান, মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গোবিন্দ চন্দ্র পাল, গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল আমীন পিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইহসানুল ফিরদাউস, গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আনিচ উদ্দীন, গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল হক, গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আফসার উদ্দিন খাঁন, সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ বিপিএম, মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রওশানুল হক সৈকত, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রাশেদ হাসান, ওয়ারী ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস, রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফার্সী, গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন মোল্লা, গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার এম রফিকুল হাসান ভূঞা, মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহানী, গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, সিটিটিসির সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল হোসেইন তুহিন, বিমাববন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত খান, শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ (বর্তমানে হাজারীবাগ থানার ওসি), মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুল হক ভূঞা, পল্টন থানার পরিদর্শক হিরন্ময় বারুরী, গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রোকনুজ্জামান খান ও সিটিটিসির এসআই মোঃ ফিরোজ মোল্লা।
“রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা” পদক পেয়েছেন ডিএমপির ২৯ জন। পদক প্রাপ্তরা হলেন- যুগ্ম কমিশনার হামিদা পারভীন পিপিএম, লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ জাফর হোসেন, গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিফাত রহমান শামীম, উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম, মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসীম উদ্দীন মোল্লা, গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আকরামুল হোসেন, গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম, গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল ইসলাম পিপিএম, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মাকসুদা লিমা পিপিএম, মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রাশেদুল ইসলাম পিপিএম, ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মোস্তফা কামাল পিপিএম, প্রটেকশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তাপস কুমার দাস, গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মিশু বিশ্বাস পিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ এনায়েত করিম, গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল আলম মুজাহিদ, সিটিটিসির সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল ইসলাম, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা, মিরপুর বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম, সিটিটিসির সহকারী পুলিশ কমিশনার ওবাইন, সিটিটিসির সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর, ট্রাফিক-ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নীপা বিশ্বাস, মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ–আল–মামুন, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) মোঃ বাচ্চু মিয়া, শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ উৎপল বড়ুয়া, ট্রাফিক গুলশান বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট মোর্শেদা, সার্জেন্ট মোঃ বায়েজিদ হোসেন, সার্জেন্ট এমএম শরিফুল ইসলাম এবং উত্তরা বিভাগের আজমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোঃ নাজমুল হোসেন।