ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে আর্থিক পুরস্কারে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর ২০২৩) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)-দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস)-দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) এসএম কামরুল হাসান।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ আব্দুল আজিজ ও ভাটারা থানার এসআই মোঃ মাসুদুর রহমান। এএসআইদের মধ্যে পল্লবী থানার এএসআই হাবিবুর রহমান। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ আব্দুল আজিজ।
চোরাইগাড়ী উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন খিলগাঁও থানার এসআই মো. মোজাম্মেল হোসেন, ভাটারা থানার এসআই মোঃ মিজানুর রহমান ও দক্ষিণখান থানার এসআই মোঃ আবু তাহের। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই মফিজুর রহমান আকাশ। অস্ত্র উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার এসআই মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। বিষ্ফোরক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন খিলক্ষেত থানার এসআই মোঃ জহির রায়হান।
গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রন টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার বার্নাড এরিক বিশ্বাস। গোয়েন্দা বিভাগের অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইয়াছিন আরাফাত। মাদকদ্রব্য উদ্ধারের শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত। চোরাইগাড়ী উদ্ধারের শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ী চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যেতির্ময় সাহা। অজ্ঞান/ মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা- রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে এলাহী
ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের মিরপুর-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ হালিমুল হারুন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক রমনা শাহবাগ জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ লুৎফুর আনাম। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-রমনা বিভাগের ধানমন্ডি-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনের সার্জেন্ট মোঃ সামসুদ্দীন সরকার।
এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রতি মাসে অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতি মাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স), অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাইফুল্লাহ আল মামুন বিপিএম, পিপিএম-বার-এর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।