রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর ড্রাইভার কর্তৃক ২৪ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনায় ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে ডিএমপির শাহবাগ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ড্রাইভারের সহযোগী মোঃ মাসুদ হাওলাদার ওরফে মাসুম (২৬) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর ২০২৪) রাত ০২:৪৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকা থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করে ডিএমপির শাহবাগ থানা পুলিশ।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, ২১ নভেম্বর বিকাল ০৩:৩০ ঘটিকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্বপন সাহার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, শান্তা কনস্ট্রাকশনের মালিক স্বপন সাহা একজন রিয়েল এস্ট্রেট ব্যবসায়ী। ২১ নভেম্বর স্বপন সাহা সকাল আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় ড্রাইভারকে নিয়ে তার গাড়িযোগে প্রথমে মতিঝিলের একটি ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ ও পরে গুলশানের একটি ব্যাংক থেকে পাঁচ লক্ষ মোট ২৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বাসার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পথে স্বপন সাহা তার পরিচিত এক ব্যবসায়ীকে এক লক্ষ টাকা প্রদান করেন। বিকাল আনুমানিক ০৩:৩০ ঘটিকায় বাসার নিচে গ্যারেজে গাড়ির ভিতরে একটি ব্যাগের মধ্যে বাকী ২৪ লক্ষ টাকা রেখে ড্রাইভারকে খাবার খেয়ে আসার জন্য বলে স্বপন সাহা বাসায় চলে যান। বিকাল আনুমানিক ০৩:৪০ ঘটিকায় ড্রাইভারকে দ্রুত গাড়ীর কাছে আসতে বললে, সে গাড়ির কাছেই আছে বলে জানায়। পরবর্তীতে স্বপন সাহা বিকাল ০৪:১৫ ঘটিকায় বাসা হতে গ্যারেজে এসে দেখেন ড্রাইভার গাড়ির পাশে নেই। তখন সিকিউরিটিকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় ড্রাইভার গাড়ি হতে একটি ব্যাগ নিয়ে বাইরে চলে গেছে। স্বপন সাহা তখন ড্রাইভারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেনি। তখন স্বপন সাহা বাসা হতে গাড়ির অপর একটি চাবি এনে গাড়ির দরজা খুলে দেখেন গাড়ির ভিতর রাখা ব্যাগসহ ২৪ লক্ষ টাকা নেই। ড্রাইভারের ভাড়া বাসায় খোঁজাখুজি করেও তাকে বা তার পরিবারের কাউকে খুঁজে পাননি তিনি। এমনকি গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
শাহবাগ থানা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রাইভারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী স্বপন সাহার চুরি হওয়া ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। গ্রেফতার করা হয় ড্রাইভারের সহাযোগী মাসুদকে। পলাতক ড্রাইভারকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মাসুদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।