রাশিয়ার সহায়তায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি)’র নিঃসরিত বিপজ্জনক পারমাণবিক বর্জ্য অপসারণ নিয়ে বুধবার বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং রাশিয়ার পক্ষে রাশিয়ান স্টেট অ্যাটোমিক এনার্জি কর্পোরেশন ‘রোসাটোম’-এর মহাপরিচালক এলেক্সেই ই. লিখাচেভ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।’ চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ইয়াফেস ওসমানের সঙ্গে লিখাচেভের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।
বৈঠককালে উভয় পক্ষ ‘সমন্বিত চুক্তি ও নির্মাণ অনুমোদন’ সংশ্লিষ্ট স্বাক্ষরের মাধ্যমে রূপপুর প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা করেন। এই চুক্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা পক্ষের কর্মকর্তারা বলেন, ‘রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ব্যবহৃত জ্বালানির বর্জ্য রাশিয়ান ফেডারেশনে ফেরত নেয়ার বিষয়ে সহযোগিতার ওপর রাশিয়ান ফেডারেশন এবং বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি’ শিরোনামে চুক্তিটি আজ বুধবার স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে রোসাটোমের সদরদপ্তরে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মস্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডঃ সাইফুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব এম আনোয়ার হোসেন, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ডঃ শওকত আকবর ও মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হাফিজুর রহমান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আইজিএ-কে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে অভিহিত করেন। এই চুক্তিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ প্রযুক্তিগত প্রকল্প উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সরকারের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারের পরিচয় বহন করে।
চুক্তিটি এর আগে গত ১৫ মার্চ ঢাকায় অনুস্বাক্ষরিত হয় এবং ৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনুমোদিত হয়। এই চুক্তিটির আওতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক বিপজ্জনক বর্জ্য থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষা দেবে এবং পারমাণবিক বর্জ্য অপসারণে পারমাণবিক নিরাপত্তা সুরক্ষার মান বজায় রাখবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের শুরু থেকেই বাংলাদেশ পারমাণবিক বর্জ্য রাশিয়ায় ফেরত পাঠানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এ বিষয়টি ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত আইজিএতেও উল্লেখ ছিল।-বাসস