এশিয়ান হাইওয়ে রুটে অন্তর্ভূক্তির জন্য জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেন বিশিষ্ট ঢাকা বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সড়কে স্থানীয় যানবাহন চলাচল করতে দুইলেন বিশিষ্ট সার্ভিস লেন নির্মান করা হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার্শিপ (পিপিপি) আওতায় প্রকল্পটি নির্মাণ করছে যৌথ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ফান্ড থেকে ব্যয় হবে প্রায় ২২৩ কোটি টাকা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ও চায়না এবং বাংলাদেশের শামীম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ৩ বছর।
প্রকল্পটি নির্মাণে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হয়। এতে সরকারের পক্ষে সওজ’র প্রধান প্রকৌশলী মো. ইবনে আলম হাসান ও চায়না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিচুএন রোড এন্ড ব্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেডের পক্ষে মি. জোফাং, শামীম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল হক, ইউডিই কনস্ট্রাশন লিমিটেডের এমডি মো. কালাম হোসাইন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, এসডিজি’র প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এশিয়ান হাইওয়ের দুইটি আর্ন্তজাতিক (এএইচ-১, এএইচ-২) ও একটি আঞ্চলিক (এএইচ-৪১) রুট বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে অতিক্রম করেছে। রুট তিনটির অন্তর্ভুক্ত ১ হাজার ৭৪১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এশিয়ান হাইওয়ে রুটে অন্তভূক্তির জন্য জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেন বিশিষ্ট ঢাকা বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে প্রকল্প সূত্র জানায়। এশিয়ান হাইওয়ে মানের সড়ক মূলত ‘প্রাইমারি বা ধমনী সড়ক’ নামে পরিচিত। এগুলোয় প্রবেশ সংরক্ষিত থাকে, যাতে অযান্ত্রিক ও ধীরগতির যানবাহন প্রবেশ করতে না পারে। এগুলোর জন্য পৃথক সড়ক (সার্ভিস রোড) থাকবে। আর প্রাইমারি সড়কের দুই পাশে নিরাপত্তামূলক বেষ্টনী বা সীমানা প্রাচীর থাকে যাতে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলতে পারে। ন্যূনতম চার লেনের এসব সড়কে কোনো মোড় থাকবে না। এছাড়া সড়কের দুইপাশে কমপক্ষে ৫০ মিটারের মধ্যে কোনো জনবসতি বা স্থাপনা থাকা যাবে না। প্রতি কিলোমিটার পর পর উল্লেখ থাকবে পরবর্তী জেলার নাম ও দূরত্ব। এসব সড়কের পাশ দিয়ে পথচারি চলাচল বা আড়াআড়ি সড়ক পারাপারও নিষিদ্ধ প্রকল্প সূত্র জানায়। বিবি/০২