গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ান প্রণালির কাছে প্রতিদিন সামরিক মহড়া চালাচ্ছে একটি চীনা নৌবহর। তাইওয়ানের মালিকানা নিয়ে যখন তাইপে ও বেইজিং-এর মধ্যে উত্তেজনা চলছে তখন ওই দ্বীপের কাছে এ মহড়া চালাচ্ছে চীনা নৌবাহিনী।
চীনা সশস্ত্র বাহিনীর নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গত ১৭ জুন থেকে এক ঝাঁক চীনা রণতরী তাইওয়ানের দৃষ্টিসীমার মধ্যে দৈনিক ভিত্তিতে মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এই বহরে অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে রয়েছে ‘০৫৪এ’ শ্রেণির একটি ফ্রিগেট এবং ‘০৫২সি’ শ্রেণির একটি ডেস্ট্রয়ার।
ওয়েবসাইটটি এক ঘোষণায় আরো বলেছে, যুদ্ধজাহাজ, বিমানচালনা এবং উপকূল প্রতিরক্ষা সেনাদের সামরিক ও প্রশক্ষিণ দক্ষতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এটি কবে শেষ হবে সে সম্পর্কে ঘোষণায় কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনা যুদ্ধজাহাজগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোনো কিছু ঘটেনি।
১৯৪৯ সালে এক গৃহযুদ্ধের পর চীনা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে যায় তাইওয়ান। তখন থেকে এই দ্বীপকে নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। তবে চীন সরকার এ কাজে এখন পর্যন্ত বলপ্রয়োগের কোনো চেষ্টা করেনি।
তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌম ক্ষমতা দাবি করে বেইজিং যা বিশ্বব্যাপী ‘এক চীন’ নীতি হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের প্রায় সব দেশ ‘এক চীন’ নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মার্কিন সরকারও এই নীতিকে স্বীকৃতি দিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত রয়েছে। তবে তাইপের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা রয়েছে ওয়াশিংটনের এবং তাইওয়ানকে বেশ কিছু সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছে মার্কিন সরকার।