পর পর তিন ম্যাচে হার। সিরিজ হারের পর চতুর্থ ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবল নিউজিল্যান্ডের। টান-টান টি-টোয়েন্টির উন্মাদনা ওয়েলিংটনে। ২০ ওভার শেষে ম্যাচ হল টাই। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ১২ করে রান। আর অনায়াসে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ তে এগিয়ে গেল ভারত। আর কিউইদের দেশে তাদেরই হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে রবিবার শেষ ম্যাচে নামবে ভারতীয় দল।
২০ ওভারের ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ১৬৬ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই গাপ্টিলকে হারায় কিউইরা। ৪ রানে তাঁকে ফেরান জশপ্রীত বুমরাহ। তবে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন কলিন মুনরো। ৪৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন মুনরো। টম ব্রুস রানের খাতা খোলেননি। তবে টিম সেইফার্ট এবং রস টেলর জুটি কিউইদের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেয়। কিন্তু শেষ ওভারে ম্যাচ জমিয়ে দেন শর্দুল ঠাকুর। এক ওভারে তুলে নেন টেলর ও মিচেলকে। রান আউট হন সেইফার্ট। টিম ৫৩ রান করেন। টেলর ২৪ রান করেন। ফের শেষ ওভারে ম্যাচ টাই। নিউ জিল্যান্ডও করে ১৬৫ রান। মাত্র ৭ রান নিয়ে লড়াই করলেন শর্দুল ঠাকুর। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটে ভারতীয় দল। রোহিত শর্মা, মহম্মদ শামি এবং রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্তে সঞ্জু স্যামসন, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং নভদীপ সাইনি প্রথম একাদশে খেলেন। বাঁ কাঁধের চোটের জন্য ওয়েলিংটন ম্যাচ থেকে ছিটকে যান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্ল্যাক ক্যাপসদের নেতৃত্ব টিম সাউদি। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সাউদি।
সঞ্জু স্যমসন, কেএল রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে করেন মাত্র ৮ রান। দ্রুত ফিরে গেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি(১১), শ্রেয়স আইয়ার(১) এবং শিবম দুবে (১২)। ৬ নম্বরে নেমে মনীশ পাণ্ডে অবশ্য ভারতীয় ব্য়াটিংকে গভীরতা দিলেন। আর শেষ দিকে শর্দুল ঠাকুর ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। ১৫ বলে ২০ রান করেন তিনি। মনীশ পাণ্ডে করেন অপরাজিত ৫০ রান। নভদীপ সাইনি ১১ রানে নট আউট থাকেন। শেষ পর্যন্ত ভারত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ইস সোধি ৩টি ও হামিস বেনেট ২টি উইকেট নেন।