ডিএমপিঃ বিভিন্ন ব্যান্ডের নকল মুঠোফোন তৈরির অভিযোগে রাজধানীর হাতিরপুল এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ মশিউর রহমান, মোঃ সাগর হোসেন, রহমত আলী, সুজন আলী, তরিকুল ইসলাম বাবু ও মনির হোসেন।
রবিবার (৯ অক্টোবর ২০২২) রাজধানীর শাহবাগ থানার হাতিরপুলের মোতালিব টাওয়ার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিএমপির সাইবার পুলিশ।
এসময় তাদের হেফাজত হেতে নকিয়া ব্রান্ডের ৩১৩টি নকল মোবাইল ফোন, স্যামসাং ব্রান্ডের SUMSUNG GURU Music 2 ২০৬টি নকল মোবাইল ফোন, ১টি 9 KINGSTAR IMPULSE SEALER মেশিন, ১টি HOT AIR GUN, মোবাইল ফোনের চার্জার ২০৩টি, হেডফোন ১৯৫টি, মোবাইল ফোন ক্যামেরা ৯৭টি, মোবাইল বডি কভার ৮২০টি ও বিভিন্ন ব্রান্ডের নকল মোবাইল ফোন তৈরির খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়, যা দিয়ে আরও ৫ থেকে ৬ হাজার নকল মুঠোফোন তৈরি করা সম্ভব।
আজ সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২২) দুপুরে টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন টেক পার্ক লিমিটেডের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন কোম্পানীর সেলসম্যান এবং মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের সদস্যের মাধ্যমে জানতে পারেন মোতালিব প্লাজার বিভিন্ন মোবাইল দোকানে নকিয়ার সীল যুক্ত নকল মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে। এমন ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে ডিএমপির ডিবি সাইবার পুলিশ। এক পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ নকল মোবাইলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ হলেও মোবাইল ফোন মেরামত এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে নকল ফোন তৈরি করতে পারদর্শী। তারা চীন থেকে নিম্নমানের মোবাইল তৈরির যন্ত্রাংশ নিয়ে এসে নিজেরাই এসব নকল ফোন তৈরি করে থাকে। আর স্থানীয় বিভিন্ন প্রেস থেকে ফোনে ব্যবহৃত লোগো এবং প্যাকেট তৈরি করে। এসব নকল ফোন অল্পদামে অসাধু সেলারদের মাধ্যমে মার্কেটে সরবরাহ করে থাকে। এসব নকল ফোন গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে স্বল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে গ্রাহক যেমন প্রতারিত হচ্ছেন তেমনি সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আর তারা ৫/৬ বছর যাবত নকল মোবাইল ফোন বিক্রির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, পিপিএম এর দিক নির্দেশনায়, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।