শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডিমের নানা পদের উপর ভরসা রাখেন বেশির ভাগ মানুষ। ডিম প্রায় প্রতিদিনই সব বাড়িতে কম-বেশি আনাও হয়। আট থেকে আশি— ডিম প্রায় সকলেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। ডিমের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে জানেন কি ত্বক ও চুলের যথাযথ যত্ন নিতেও ডিম অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান! এ বার ত্বক ও চুলের যত্নে ডিমের চমকপ্রদ ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…
চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহার:
১) আপনার চুল কি অতিরিক্ত রুক্ষ? তাহলে ২টো ডিম ভাল করে ফেটিয়ে তার সঙ্গে ২ চামচ মেয়োনিজ মিশিয়ে সমস্ত চুলে মাখিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে অন্তত মিনিট কুড়ি ঢেকে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু করে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই পদ্ধতিতে যত্ন নিতে পারলে চুলের রুক্ষ ভাব অনেকটাই কেটে যাবে।
২) শীত কালে মাথার ত্বক (স্ক্যাল্প) শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে ২টো ডিম ফেটিয়ে তার সঙ্গে ২ চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। অন্তত ৩০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারলে এই সমস্যা দ্রুত কমে যাবে।
৩) আপনার চুল কি অতিরিক্ত তৈলাক্ত আর ভারি? দ্রুত চুল আঁঠালো, চটচটে হয়ে যায়? এই ধরনের সমস্যায় ২টো ডিম ফাটিয়ে তার কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশ ভাল করে ফেটিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণ সমস্ত চুলে মাখিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে অন্তত মিনিট কুড়ি ঢেকে রাখুন। তার পর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কেটে গিয়ে চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, ফুরফুরে।
৪) ডিম আর মধুর মিশ্রণ চুলকে ময়শ্চারাইজ করে। ২টো ডিম, ১ চামচ দুধ আর ১ চামচ মধু মিশিয়ে সমস্ত চুলে মাখিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে অন্তত মিনিট কুড়ি ঢেকে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, ফুরফুরে।
ত্বকের যত্নে ডিমের ব্যবহার:
১) শীত কালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে ১টা ডিমের সঙ্গে আধা চামচ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ মুখ ও গলায় লাগিয়ে রাখুন (হাত বা পায়েও মাখতে হলে অন্তত ৪-৫টা ডিম আর ৩ চামচ মধু লাগবে)। এর পর হালকা গরম জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমে যাবে।
২) আপনার ত্বক কি নির্জীব হয়ে পড়ছে? নির্জীব, রুক্ষ ত্বককে উজ্জ্বল করতে ২টো ডিম ফেটিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ দই মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। এর পর অন্তত ২০-২৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।