ডিএমপি নিউজ: থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ দমনে জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে মাসব্যাপী বিক্ষোভ ঠেকাতে এক সপ্তাহ আগে এটি জারি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হবে বলে দেশটির সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সংবাদ: বিবিসি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি; যা কঠোর পরিস্থিতির ঘোষণার দিকে ধাবিত করেছিল, তা শিথিল ও তুলে নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা এবং সংস্থাগুলো নিয়মিত আইনের প্রয়োগ করতে পারবেন।
গত সপ্তাহে দেশটিতে বিক্ষোভ দমাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে রাজতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভ আরও জোরাল হয়ে ওঠে। জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী ব্যাংকক ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ করেন।
গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ও প্রায়ূতের নেতৃত্বাধীন রাজতন্ত্র। গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশটিতে রাজতন্ত্রবিরোধী আন্দোলন করে আসছে হাজার হাজার মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূত চান-ওচার বিরুদ্ধে গত বছরের নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে প্রায়ূত বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূতকে পদত্যাগের জন্য তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার তাদের দাবি-দাওয়া পূরণে যথেষ্ট নয়।
বিক্ষোভকারীদের নেতা জা নিউ সেরিতিওয়াত বলেন, জনগণের দাবি-দাওয়া উপেক্ষা করে তিনি (প্রায়ূত) এখনও ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। প্রথমেই জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত ছিল না।
গত কয়েক দিনের বিক্ষোভ থেকে অনেক প্রভাবশালী নেতা ও বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজতন্ত্র ও প্রধানমন্ত্রীবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়ে আসা প্যাসারাভালি মাইন্ড তানাকিতভিবুলপনকে গ্রেফতারের পর আদালতে তোলা হলে বৃহস্পতিবার তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর নয় বলে আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন। সূত্র :বিবিসি