ডিএমপি নিউজঃ থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে সুস্পষ্ট কোন নিরাপত্তা হুমকি আমাদের কাছে নেই। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমেও এ ধরণের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এবারের থার্টি ফাস্ট নাইট বিশেষ আঙ্গিকে উদযাপন করা হবে। নির্বাচন পরবর্তী থার্টি ফাস্ট নাইট হওয়ার কারণে আমাদের বাড়তি সতর্কতা ও ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
আজ ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিংকালে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারবিহীন কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। ছাত্ররা আইডি কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করবে। রাত ৮টার মধ্যে বহিরাগতদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রিক পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
তিনি আরো বলেন, গুলশানে যেসব পাঁচ তারকা হোটেল রয়েছে তারা ইনডোরে প্রোগ্রাম করলে কোন আপত্তি নেই। তবে বাহিরে কোন প্রোগ্রাম, ডিজে পার্টি, ছাদে বা উন্মুক্ত কোন স্থানে অনুষ্ঠান না করতে বলা হয়েছে। যারা গুলশান এলাকার বাসিন্দা না তাদেরকে রাত ৮টার পূর্বে গুলশান এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। হাতিরঝিলসহ ঢাকা মহানগরীর উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান ও জনসমাগম করা যাবে না। যদি কেউ চার দেয়ালের মধ্যে অনুষ্ঠান করতে চায় তাহলে আমাদের কোন বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে অবহিত করতে হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যাতে কোন সুযোগ নিয়ে নাশকতা করতে না পারে সেক্ষেত্রে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, সতর্ক রয়েছি।
এসময় ইংরেজি নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে, পুলিশের নিরাপত্তা কাজে সম্মানিত নগরবাসীকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।