ডিএমপি নিউজ রিপোর্টঃ সিপিএ চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) একটি বৈশ্বিক বিষয়। এর বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ব তহবিল ও প্রত্যেকটি দেশের নিজস্ব তহবিল প্রয়োজন। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এই দু’ধরনের তহবিলের যথাযথ প্রাপ্তি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল শুক্রবার ভারতের ইন্দোরে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও ভারতের লোকসভার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার স্পিকারস সম্মেলন-২০১৭ এর ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন’ শীর্ষক প্লেনারি সেশনের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, মালদ্বীপ, ভুটান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয় স্পিকাররা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে স্পিকার সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেরই সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের এ সীমাবদ্ধতা অনেক প্রকট। উন্নত দেশসমূহের অর্থনৈতিক ও কারিগরী পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব এবং সীমিত সম্পদের সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হতে পারে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পীকার, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এবং সংসদ উপনেতা নারী উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নেও বাংলাদেশ সারাবিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায়ও বাংলাদেশের নারীরা সম্পৃক্ত হয়েছে । তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিবি/০১